পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে শোক দিবস পালন
প্রকাশিত : ১৬:৫২, ১৬ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১৬:৫৪, ১৬ আগস্ট ২০২১
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাস। রোববার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের মর্মের সাথে সংগতি রেখে দূতাবাস প্রাঙ্গণে উপযুক্ত ব্যানার ও পোস্টার লাগানো হয়, অংশ গ্রহণকারীগণ সাদা-কালো পোশাক পরিধান করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
সকালে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিন ব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা করেন।
বিকেলে, দূতাবাস চত্বরে রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্রাবস্থা থেকে শুরু করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত সময়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের যুগান্তকারী ঘটনাবলীর ঊপর “আলোকচিত্রে সংগ্রামী বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। শিরোনাম সম্বলিত এবং কালানুক্রমিকভাবে সাজানো আলোকচিত্র সমূহ দর্শনার্থীরা আগ্রহের সাথে পরিদর্শন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ, রাজনৈতিক দল, সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রবৃন্দ সহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীগণ অংশগ্রহণ করেন। এ পর্বের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এবং বাংলাদেশী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও কর্মীগণ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
এরপর জাতির জনক ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচকগণ জাতির পিতার অতুলনীয় অবদান ও তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর বর্বর হত্যাকান্ড স্মরণ করে এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর অভিশপ্ত রাতে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির নীল নক্সায় শাহাদাৎ বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণসহ সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু ব্যক্তি মুজিবুর রহমান-কে হত্যা করেনি, তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে। কিন্তু ঘাতকেরা বাঙ্গালির মন থেকে যেমন বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবিকে মুছে ফেলতে পারেনি; তেমনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চিরন্তন শিখাকেও নিভিয়ে দিতে পারেনি। তবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর বারবার আক্রমণের কথা উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করেন যে, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকেনি। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এসি
আরও পড়ুন