পর্তুগালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
প্রকাশিত : ২৩:২২, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে পর্তুগাল লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনারে সকল ভাষা শহীদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতিতে প্রথমে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান এরপর স্থানীয় সরকার জয়ন্তা ফ্রেগসিয়া আরিয়ারো এর প্রেসিডেন্ট, পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্ব দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর্তুগাল, পর্তুগাল যুবলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পর্তুগাল, বৃহত্তর ফরিদপুর এসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল, বরিশাল কমিউনিটি অব পর্তুগাল, পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশন, ডেইলি শুভ বার্তা, ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, পর্তুগাল সংগীত শিল্পী সংঘ, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব সহ পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটি এর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ ও পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীগণ।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারকে বর্ণীল সাজে সজ্জিত করা হয়। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ব্যানার, পোস্টার ও বর্ণমালা এবং শহীদদের এক চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন ছিলো মনমুগ্ধকার।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তৎকালীন উদীয়মান তরুণ রাজনৈতিক নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যিনি ভাষা আন্দোলনে তরুণদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি মন্তব্য করেন যে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবজ্জ্বল মাইলফলক যা বাঙালি জাতিকে তাদের অধিকার আদায়ের বৈধ সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষার সার্বজনীন অধিকারের জন্য ভাষা শহীদদের এই সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেবার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই বিশ্বের ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষা এবং বিলুপ্তপ্রায় ভাষাগুলোর সংরক্ষণে বাংলাদেশ ২০১০ সালে ইউনেস্কো-অধিভুক্ত গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট” প্রতিষ্ঠা করে। তরুণ প্রজন্মকে পর্তুগিজ ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা চর্চায় উৎসাহিত করতে, রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও, তিনি ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদার আদর্শকে ধারণ করতে সমবেত সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।
আলোচনা শেষে, সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্বে সমবেতকন্ঠে ’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে দেশিয় খাবারের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গকে আপ্যায়িত করা হয়।
এসি
আরও পড়ুন