ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

হামলার আগেও স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন আরিফ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৬, ৩ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৪:১২, ৩ মার্চ ২০২২

যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেইনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে গোলার আঘাতে আগুন ধরে মারা গেছেন একজন প্রকৌশলী। নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার। জাহাজের বাকি ২৮ জন অক্ষত আছেন।

অলভিয়া বন্দরে আরিফের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে চলছে শোকের মাতম।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ২২ ফেব্রুয়ারি নোঙর করে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। পরে ছাড়পত্র পেতে দেরি হলে আটকা পড়ে জাহাজটি। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজে আঘাত হানে একটি মিসাইল। 

জাহাজের আগুন নেভানো হলেও নিহত হন থার্ড ইঞ্জিনিয়ার আরিফ। বাকি ২৮ জন অক্ষত রয়েছেন। জাহাজে পর্যাপ্ত খাবার আছে বলেও জানা গেছে। 

এদিকে, আরিফের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া। জাহাজে আগুন ধরার আগে আরিফের সঙ্গে মোবাইলে কথা হচ্ছিল স্বজনদের। এমন সময় বিকট শব্দে ফোন কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

নিহতের ভাই তারিকুল ইসলাম বলেন, “আমার ভাইয়ের লাশটি চাই, তাকে যেন একবারের জন্য হলেও দেখতে পাই।”

কান্না জড়িত কণ্ঠে নিহত আরিফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, “আয়-উন্নয়নের পথ বন্ধ হয়ে গেল। ছেলেদের লেখাপড়া চালানো সম্ভব হবে না।”

তিনভাই ও একবোনের আরিফ ছিলেন সবার বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবারের অন্য সদস্যরা। 

নিহত হাদিসুর রহমান আরিফের চাচা মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, “গত রাত ৯টার পরপরই সে কথা বলতে ছিল ছোটভাইয়ের সঙ্গে। কথা বলার অবস্থায় একটা বিকট শব্দ হলে ওর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়।”

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি