সৌদিতে উৎসাহ উদ্দীপনায় ঈদুল ফিতর উদযাপন
প্রকাশিত : ১৩:২৩, ২ মে ২০২২
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে। লাক্ষ লাক্ষ বাংলাদেশী মুসল্লি সহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ঈদে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করেন।
সোমবার ২ মে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে পবিত্র মক্কায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর পর পরই মদিনা, রিয়াদ, জেদ্দা সহ বিভিন্ন প্রদেশে প্রবাসীরা ঈদের জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন।
সূর্য উঠার আগেই বিশাল ঈদগাহ ময়দান, মসজিদ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে বেশীর ভাগ মুসল্লি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৌদিতে অবস্থানরত নাগরিকরা।
জামায়াত শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।
ঈদে প্রবাসীদের মনটা থাকে দেশে আর দেহটা থাকে বিদেশে। বিশেষ করে পৃথিবীর বহু দেশেই প্রবাসীদের পরিবারবিহীন একাকী থাকতে হয়। আর জীবন সংগ্রামের এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই প্রবাসীরা ঈদ উদ্যাপন করেন। টেলিফোনে অথবা স্কাইপে, ভাইবারে বা ম্যাসেঞ্জারে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলেন। অনেকেই হয়তো মরুভূমির মরীচিকায়নিজের দুঃখটাকে মিশিয়ে দিয়ে কাজেও যান।
যদিও বাংলাদেশের মতো ঈদের আমেজ এখানে পুরোপুরি থাকে না-তবুও সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করেন একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের, কোলাকুলি, খাওয়া দাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে ব্যস্ত থাকতে।
সুখ দুঃখের খোঁজ খবর নেন একে অন্যের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেখা যায়। ঈদ উপলক্ষে ৫ দিন সরকারি ছুটি থাকায় ঈদ জামাত শেষে পরিচিত বন্ধু বান্ধব মিলে একে অন্যের বাসায় খাওয়া দাওয়া ও সমুদ্র পাড়ে, পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে বের হন অনেকেই।
প্রবাসীরা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি সার্বিক উন্নতি হওয়াতে সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বন্ধু বান্ধব মিলে জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করলাম। গত বছর করোনার কারণে সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি । এইবছর প্রবাসী পরিবারগুলো মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া ও আড্ডা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করলাম।’
ছোট ছোট বাচ্চারা ঈদে দেশে আত্মীয় স্বজনদের মিস্ করা, তাদের পাশে না পাওয়ার অপূর্ণতার কথা বলেন, বাবা মা এর সাথে ঈদের জামাত আদায় করে একে অপরের সাথে কৌশল বিনিময় করেন।
ঈদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জেদ্দার প্রবাসী ব্যবসায়ী ইলিয়াস বলেন, “খুব মিস করি শৈশবের সেই আনন্দের ঈদকে। সেই দিন সময় আর কখোনই ফিরে পাবার নয়। ব্যস্ত এই প্রবাস জীবনে পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যদিও ঈদ করি, কিন্তু সেই সময়ের ঈদ এখন কেবলই স্মৃতি।”
এসএ/
আরও পড়ুন