মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ কয়েকশ’ অবৈধ শ্রমিক আটক
প্রকাশিত : ০৯:২৯, ২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ০৯:২৯, ২ জুলাই ২০১৭

ছবি: সংগৃহীত
অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে মালয়েশিয়ান অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।এ অভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বহু বাংলাদেশি শ্রমিকও আছেন। সাময়িক বৈধতার জন্য সরকার ঘোষিত এনফোর্সমেন্ট কার্ডের (ই-কার্ড) জন্য আবেদন করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বড় ধরনের অভিযানে নামে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। খবর মালয়েশিয়ান ডাইজেস্টের।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে ই-কার্ডের আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়। এর পরপরই অভিবাসন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলীর নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ৮৬ কর্মকর্তা মিলে ক্লাং জেলার বাতু ৭ কাপার এলাকায় শ্রমিকদের দুটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালান। সেখানে ২৩৯ বিদেশি শ্রমিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, ১২ নারীসহ ৫১ শ্রমিকের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। তাঁরা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন মালয়েশিয়ায়।
জহরবাহরু নামের অপর একটি এলাকায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ৬৮০ শ্রমিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করে ৩১৫ জনকে আটক করে। কোতা বাহরু এলাকা থেকে আটক করা হয় ১৪৭ শ্রমিককে। এর মধ্যে বাংলাদেশি ১৩২ জন ও পাকিস্তানের ১০ জন। আলোর সেতার এলাকার ২০ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ১৪ জন ও বাংলাদেশের ৫ জন। মেলাকা এলাকায় ২০৪ জন অভিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষা করে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। কুয়ান্তান এলাকা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি। কোতা কিনাবালু এলাকায় ৭০ জনের বেশি বিদেশি শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
অভিবাসন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নানা কারণে অনেক বিদেশি শ্রমিক এনফোর্সমেন্ট কার্ডের জন্য আবেদন করেননি। এর মধ্যে অনেকে আবেদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে জানতেন না। আবার অনেকের চাকরিদাতা বলেছেন, আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হবে। মুস্তাফার বলেন, আবেদনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ফলে সময়সীমা নতুন করে বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না চাকরিদাতা এবং অবৈধ শ্রমিকদের। এখন থেকে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হবে।
মুস্তাফার আলী আরও বলেন, ‘আমি হতাশ সেই সব নিয়োগকারীদের ওপর, যাঁরা এখনো তাঁদের কর্মচারীদের জন্য আবেদন করেননি। এই ই-কার্ড সাময়িক অনুমোদনপত্র হবে এমন শ্রমিকদের জন্য, যাঁদের বৈধ কাগজপত্র নেই। আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ই-কার্ডের মেয়াদ থাকবে। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র করে নিতে হবে।’
মালয়েশিয়ার অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৬ লাখ অবৈধ বিদেশি শ্রমিক অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত আবেদন করেছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৬ জন, অর্থাৎ মাত্র ২৩ শতাংশ।
//আর
আরও পড়ুন