ইথিওপীয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব
প্রকাশিত : ২১:০১, ২৭ জুন ২০২২
ইথিওপীয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন) রাষ্ট্রদূত এম নজরুল ইসলামের আমন্ত্রণে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ, ইথিওপীয়ায় বসবাসরত প্রবাসি বাংলাদেশি ও কিছু ইথিওপীয় অতিথিবৃন্দ।
এ আনন্দ উৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী আগত অতিথিবৃন্দের উদ্দেশ্য পাঠ করে শোনানো হয় ও দেশের অব্যাহত উন্নতি ও অগ্রগতি বর্ণনা করে মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক আনুষ্ঠানিকতার পর রাষ্ট্রদূত এম নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত প্রদান করেন এবং বলেন যে, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অদম্য সাহসিকতায় বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা নদীর বুকে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘পদ্মা সেতু' নির্মাণ করায় আজ সমগ্র দেশ ও জাতি গর্বিত।'
রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের মেয়াদে বাস্তাবায়িত বিভিন্ন মেগা প্রকল্প যেমন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ আরও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন।
নজরুল ইসলাম আগত অতিথিদের উদ্দেশ্য কোভিড ১৯ মহামারির কারণে এবং বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকায় বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্যর অস্থিরতা বিরাজ করা সত্ত্বেও সরকারের দূরদৃষ্টির কারণে জনজীবনে সুবিধার নিশ্চয়তার ধারাবাহিকতা বর্ণনা করেন।
এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘পদ্মা সেতুর‘ শুভ উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ও প্রামাণ্যচিত্র মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আগত অতিথিবৃন্দদের উদ্দেশ্য দেখানো হয়। বাংলাদেশের ‘পদ্মা সেতুর‘ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপস্থিত গণ্যমান্য অতিথিদের নিয়ে একটি বিশেষ কেক কেটে উৎসব উদযাপন করা হয়।
পরিশেষে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আগত সম্মানিত অতিথিদের রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং অতিথিদের উদ্দেশ্যে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি এবং ইথিওপীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।
কেআই//
আরও পড়ুন