যথাযোগ্য মর্যাদায় জেদ্দায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
প্রকাশিত : ২৩:৪১, ২৬ মার্চ ২০২৩
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা শাখা ও ব্রিটিশ কারিকুলাম শাখা কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ উপলক্ষে রোববার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর কনসাল জেনারেল এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর পক্ষ থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে অস্থায়ী নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক স্থাপন করা হয়।
উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ অতঃপর শ্রদ্ধা বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়।
কনস্যুলেট কর্মকর্তাবৃন্দ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কনস্যুলেটের কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুল, জেদ্দাস্থ আওয়ামী পরিবার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি।
কনসাল জেনারেল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। যাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ শাহাদত বরণকারী তার পরিবারের সদস্যগণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে কনসাল জেনারেল জেদ্দা ২০শে মার্চ সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে রিসিপশনের আয়োজন করেছিল। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহা পরিচালক মাজেন বীন হামাদ-আল হিমালী প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, সিআইপিগণ, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ রিসিপশনে যোগ দেন। ২৬ মার্চ এ বছর পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে রমজানের পূর্বেই এ রিসিপশন আয়োজন করা হয়।
কেআই//
আরও পড়ুন