মালয়েশিয়া দূতাবাসের সেবা পরিদর্শন করলেন নজিবুর রহমান
প্রকাশিত : ১৭:১৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৮
মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কন্স্যুলার সেবা পরিদর্শন করলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মালয়েশিয়ার জালান বেছার আম্পাং দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখা পরিদর্শনে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, রাষ্ট্রদূত মুহ. শহীদুল ইসলাম, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার উইং প্রধান মো. মশিউর রহমান তালুকদার, পাসপোর্ট বিভাগের এডিশনাল প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মো. জুল ফিকার আলী, প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. রাজিবুল আহসান, ২য় সচিব (শ্রম) মো. ফরিদ আহমদ, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার অফিস সহকারী সুশান্ত সরকার প্রমুখ।
প্রবাসী কর্মীদের উদ্দেশ্যে মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। সফল ও দক্ষ কার্যক্রমের সুফল হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে সুপরিচিত। ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়ন থেকে শুরু করে সব সেবাই আপনারা পাবেন। হাইকমিশনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্বদা আপনাদেরকে সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত মুহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের মিশন শ্রমিকবান্ধব হওয়ায় দূতাবাস ছাড়া দেশটির প্রত্যেকটি প্রদেশে গত এক বছর ধরে আপনাদের সেবা দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে শনিবার থেকে রোববার মালয়েশিয়ার জহুর বারু, পেনাং, মালাক্কা, ক্লাং এ কন্স্যুলার সেবা দেওয়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মালয়েশিয়া সরকার অবৈধদের বৈধতার প্রোগ্রামে যারা নিবন্ধিত হয়েছেন যা সর্বমোট আবেদনের যথাক্রমে ৫৭ শতাংশ এবং ৮৯ শতাংশ বাংলাদেশিদের। এই অভূতপূর্ব সাড়ার উচ্ছসিত প্রশংসা করেন এ কর্মকর্তা এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কন্স্যুলার সেবা পরিদর্শন শেষে সাড়ে ১১টায় কুয়ালালামপুর জালান সুলতান ইয়াহিয়া পেট্রা দূতাবাসের মূল কন্স্যুলার অফিসে রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন মূখ্য সচিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, শ্রম কাউন্সিলর ও অতিরিক্ত সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা বিভাগের উইং প্রদান এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
এসএইচ/
আরও পড়ুন