ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নারী গৃহকর্মীর ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, সেই সুমি নাজরানে উদ্ধার 

সৌদি আরব প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:৩১, ৫ নভেম্বর ২০১৯

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৌদিআরবে বাংলাদেশি গৃহকর্মী সুমির যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেই সুমীকে রিয়াদ দূতাবাসের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে নাজরান পুলিশ। 

মঙ্গলবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সুমি নাজরান পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন রিয়াদ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিল।

এর আগে সৌদি প্রবাসী সুমির আর্তনাদ 'আমি বাঁচতে চাই, 'হায়নার দল আমাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে' এমন একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ভাইরাল হয়। সুমী প্রধানমন্ত্রী কাছে করুণ আর্তনাদ করে বলেন, আমার কি অপরাধ প্রধানমন্ত্রী আমি বাঁচতে চাই, হায়নার দল আমাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে।'

সুমি আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের সময় তোলা, “রূপসী বাংলা ওভারসীজ এর ব্যানারে সৌদি আরব গিয়ে নির্যাতন ও যৌন হয়রানীর শিকার আশুলিয়ার সুমী আক্তার” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি ভিডিও প্রকাশিত হলে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে তোলপাড় হলেও টনক নড়েনি রুপসী বাংলা ওভারসীজ এর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর। 

রাজধানী ঢাকার অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে আদম ব্যবসায়ীদের অফিস, সাব-অফিস। তাদের নিয়োগকৃত দালালেরা সামাজের অসহায় ও গরিব লোকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা, তাদের মধ্যে রুপসী বাংলা অভারসীজ অন্যতম। 

জানা গেছে, গত ৫ মে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত দালাল জনৈক মাজেদা বেগমের সহযোগীতায় উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ৪৮/এ-বি, ৭ম তলা, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০ ঠিকানায় অবস্থিত রুপসী বাংলা ওভার সীজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তার হোসেন গত ৩০ মে আশুলিয়া থানার, আশুলিয়া গ্রামের জনৈক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তারকে সৌদি আরবে নিয়ে আসেন।

তারপর থেকে স্ত্রীর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে না পেরে নুরুল ইসলাম আক্তার হোসেনকে চাপ প্রয়োগ করেন। তখন নুরুল ইসলামকে এক মাসের বেতন বাবদ সতের হাজার সাত'শ টাকা প্রদান করেন এবং সুমি আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

সাম্প্রতিক সময়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, সৌদিতে তার উপর শারীরিক মানসিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম আক্তার হোসেন এর অফিসে গেলে তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। নিরুপায় হয়ে নুরুল ইসলাম পল্টন থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং-৬৮৬, তাং ১১-৯-২০১৯ এবং গত ২২-১০-২০১৯ তারিখে ন্যায় বিচারের জন্য মহাপরিচালক জনশক্তি কর্মসংস্থান রপ্তানি ব্যুারো এর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন নির্যাতিতা সুমি আক্তারের স্বামী নুরুল ইসলাম।

এবিষয়ে আক্তার হোসেন মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, এর আগে যে বাসায় ছিল সেখানে নির্যাতন হলেও বর্তমানে যেখানে দিয়েছি সেখানে ভালো আছে। সুমির অভিযোগের বিষয় আমরা ভিসা অফিসে জানিয়েছি। এই বিষয়ে নুরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এসি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি