করোনা ভাইরাস: কুয়েতগামী প্রবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কাল থেকে
প্রকাশিত : ০৮:৫৭, ৬ মার্চ ২০২০
কুয়েতগামী প্রবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার থেকে রাজধানীর মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে শুরু হবে।
এজন্য কুয়েতগামী যাত্রীদের তাদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট এবং ওয়ার্ক-অর্ডার অর্থাৎ কার্যাদেশের কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথে সেন্টার খোলা হচ্ছে।
‘তারাই মূল দায়িত্ব পালন করবে। এক্ষেত্রে কুয়েতগামী যাত্রীদের তাদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট এবং ওয়ার্ক-অর্ডার অর্থাৎ কার্যাদেশের কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে।’
‘আমরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় দেখবো তাদের কোন লক্ষণ বা উপসর্গ আছে কি না, তারা কতদিন আগে এসেছে দেশে এবং ১৪ দিন পার হলে ওই সময়ের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা গেছে কি না, যদি না দেখা যায় এবং সে সুস্থ থাকে তাহলে আমরা ধরে নেব, সে করোনা ভাইরাস মুক্ত।’
ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথে চারটি বুথ খোলা হবে, এর মধ্যে একটি থাকবে নারী শ্রমিকদের জন্য।
তবে, অধ্যাপক তাহমিনা জানিয়েছেন, কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা বোঝার জন্য বিশ্বব্যাপী যে পরীক্ষা চালানো হয় অর্থাৎ রক্ত বা লালার পিসিআর মানে পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন পরীক্ষা, সে পদ্ধতিতে সবার পরীক্ষা করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
‘কারণ এই পরীক্ষা অল্প সময়ে এত বেশি মানুষকে করা মুশকিল হবে। তাছাড়া এটি নতুন একটি ভাইরাস, এখনও এটি শনাক্তের জন্য যে ‘ডায়াগনস্টিক কিট’ বাংলাদেশে এসেছে তা এখনও খুবই অল্প পরিমাণে আছে দেশে।’
যে কারণে এখন সরকার পরিকল্পনা করছে যে তারা কুয়েত সরকারকে অনুরোধ জানাবে যাতে পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই যেন বাংলাদেশের শ্রমিকদের কুয়েতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
গত মঙ্গলবার কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকার সনদ দেখাতে হবে। সেটি কার্যকর হবে ৮ মার্চ থেকে।
এছাড়া কুয়েত সরকারের ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকার সনদ সাথে না আনলে বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের কর্মীদের কুয়েতে ঢুকতে দেয়া হবে না এবং একই বিমানে সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে কুয়েত সরকার কোনও খরচ বহন করবে না।
হঠাৎ এমন ঘোষণায় কুয়েত থেকে দেশে ছুটি কাটাতে এসে ফিরে যাবেন এমন শ্রমিকেরা বিপদে পড়েছেন।
কোথায় পরীক্ষা করানো যাবে, কোথা থেকে সনদ পাওয়া যাবে- এমন ভাবনায় দুপুরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআরে ভিড় করেন বহু শ্রমিক।
কারণ বাংলাদেশে কেউ করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন কি না, সেটি পরীক্ষা করে কেবল আইইডিসিআর।
যে কারণে তড়িঘড়ি ঢাকায় এসে কুয়েত দূতাবাসে যোগাযোগ করেও কোথায় পরীক্ষা করতে হবে আর কোথা থেকে সনদ পাওয়া যাবে সে বিষয়ে যথাযথ জবাব পাননি শ্রমিকেরা। এই মূহুর্তে কুয়েতে বাংলাদেশের দুই লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।
একে//
আরও পড়ুন