সৌদিতে করোনা ও হৃদরোগে আরো ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু
প্রকাশিত : ০১:০৩, ৬ মে ২০২০ | আপডেট: ০১:০৫, ৬ মে ২০২০
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে মক্কা-মদিনা, জেদ্দা, দাম্মাম ও রাজধানী রিয়াদে গত চার দিনের ব্যবধানে করোনা ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ বাংলাদেশি মৃত্যু হয়েছে।
এরা হলেন মাওলানা মুসলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ মহিন, মনজুর আলম সওদাগর, মিজানুর রহমার, মোঃ নাছির উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম সোহেল, লোকমান আহমদ, আবু শামা ছিদ্দিক আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম, ফোরকান আহমদ, মোঃ লিয়াকত আলী, মোহাম্মদ রফিক ড্রাইবার ও হাজ্বী মোহাম্মদ সেলিম মিয়া।
এদিকে, সৌদি আরবে হুহু করে বেড়ে চলছে মহামারি মরণব্যধি রোগ পাশাপাশি তো আছেই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। করোনা অথবা হ্নদয়রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত নিজ বাসা বা হাসপাতালে মারা যাচ্ছে এইসব প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধারা।
গত চার দিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যেসব বাংলাদেশি মারা গেলেন তারা হলেন-
মোঃ লিয়াকত আলী। তার বাড়ী কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড়ের নবগ্রামে। তিনি মদিনা ওহুদ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মক্কার কিং ফয়সাল হাসপাতালে করোনার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোঃ ফোরকান আহমদ। তার বাড়ী কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোলায়খালী সাত জুলাকাটা গ্রামে। তিনি লাল মোহাম্মদের পুত্র।
মক্কা নগরীর নুর হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মাওলানা মোসলিম উদ্দিন।
অপর দিকে মোহাম্মদ মহিন রাজধানী রিয়াদে নিজ বাসায় স্ট্রোক করে মারা যান।
মনজুর আলম সওদাগর। তার বাড়ী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া। মক্কা নগরীর নিজ বাসায় স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন।
মোঃ নাছির উদ্দিন, তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার বরুরা গ্রামে। তিনি করোনায় মদিনার একটি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ব্রেইন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ লোকমান হাকিম। তার বাড়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়নের বুছির পাড়ায়।
শফিকুল ইসলাম সোহেল। জেদ্দায় নিজ বাসায় স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। মোহাম্মদ সেলিম মিয়া দাম্মামে নিজ বাসায় স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন।
আবু শামা ছিদ্দিক আহমদ। তার বাড়ী কক্সবাজার জেলায়। মক্কা নগরীর আল হেরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে জ্বর ও সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হয়ে মক্কার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন মোহাম্মদ রফিক ড্রাইবার, তার বাড়ী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া। বাকী দু'জনের নাম ও ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
এসি
আরও পড়ুন