মারা গেলেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের আবু জাফর
প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
‘এই পদ্মা এই মেঘনা, এই যমুনা সুরমা নদী তটে’ গানের বিখ্যাত গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান তিনি।
প্রখ্যাত এ গীতিকার ও সুরকারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশের বরেণ্য আরেক গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মিল্টন খন্দকার।
তিনি আরো বলেন, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে জানাজা শেষে তার গ্রামের কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর জানা যায়, বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন আবু জাফর। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ছিলেন সিসিইউতে। এ অবস্থায় একদিন পরই তার মৃত্যুর খবর ভেসে এলো।
আবু জাফর ছিলেন একাধারে একজন গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশল্পী। এছাড়া পেশাগত জীবনে একজন শিক্ষক ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন তিনি।
কুষ্টিয়ার কুমারকালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম গীতিকার আবু জাফরের। বাবা খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। এ গীতিকার রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের একজন নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন।
তার লেখা দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই সুরকারের রচিত একাধিক কালজয়ী গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’। নিজের লেখা ও সুর করা অধিকাংশ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কখনো আবার সাবেক স্ত্রী ফরিদা পারভীনও কণ্ঠ দিয়েছেন তার সঙ্গে।
এছাড়া আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি বিবিসি জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। রচিত অন্যান্য সংগীতের মধ্যে রয়েছে ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’
গান লেখার বাইরে বইও লিখেছেন আবু জাফর। তার লেখা বইয়ের মধ্যে উল্লেখেযোগ্য ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য)।
এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে বিখ্যাত গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন ভোরের কাগজ
এসএস//
আরও পড়ুন