অর্থ সংকটে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০২, ১৬ মে ২০২২ | আপডেট: ১৩:৩৬, ১৬ মে ২০২২
সংস্কৃতি বিকাশে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি একসময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এখন কিছুটা হলেও ম্রিয়মান হয়েছে। সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্য ও নাট্যকলা, চারু ও কারুশিল্পে শিক্ষাদান চললেও কমেছে গবেষণা। তবে এ জন্য অর্থ সংকটকেই দায়ী করছে একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
পঞ্চাশের দশকে পাকিস্তানি শোষণে জর্জরিত বাংলা ও বাঙালি। যখন বাঙালি সংস্কৃতির ওপর পশ্চিম পাকিস্তানিদের আগ্রাসন ঠিক তখনই ১৯৫৫ সালে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি গড়তে বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠা।
আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর নামে ঢাকার ওয়াইজঘাটে একডেমিটি প্রতিষ্ঠা করেন মাহমুদ নূরুল হুদা।
সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্য ও নাট্যকলা, চারু ও কারুশিল্পে শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণায়ও ভূমিকা রেখেছে একাডেমি।
শুধু শেখার জন্য নয়, মানবিক শিক্ষাকে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “বাংলাদেশের এটিই সবচেয়ে পুরনো প্রতিষ্ঠান। অনেক শিখতে পেরেছি, শিক্ষকরা খুবই অ্যাকটিভ। এখানে শিখতে পারা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।”
অভিভাবকরা জানান, “বাচ্চারাও ভাল করছে। এখানের শিক্ষকসহ সব কিছুই ভাল।”
তবে প্রথম দিককার এই শিক্ষার্থী জানান, যে উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছিলো তা থেকে কিছুটা হলেও সরে গেছে একাডেমি।
বুলবুল ললিতকলার সাবেক শিক্ষার্থী কাজল ইব্রাহিম বলেন, “আমার চাচা মোহাম্মদ নূরুল হুদা আর বুলবুল চৌধুরী খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বুলবুল একাডেমির সেই প্রতিষ্ঠানটি যখন দেখি একেবারে ম্লান হয়ে গেছে। তার মধ্যে সেই উচ্ছ্বলতা নেই, সেই রকম গমগম করছে না।”
শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় আরও বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার বলেও মনে করেন তিনি।
তবে অর্থ সংকটের কথা তুলে ধরলেন বর্তমান সভাপতি। তিনি জানান, নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা পরিচালনা কঠিন কাজ।
বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু বলেন, “আমরা থেমে থাকবো না, অবশ্যই সাহায্যের জন্য চাইব। এটা একটা হৃদস্পন্দন। আশা করব, সরকার আমাদের আবেদনে সাড়া দিবে।”
সংস্কারমুক্ত সংস্কৃতিচর্চাকে প্রাতিষ্ঠানিকরূপ দিতে গড়ে ওঠা বুলবুল ললিতকলা একাডেমি স্বগৌরবেই পথ হাঁটবে বলে প্রত্যাশা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।
এএইচ/
আরও পড়ুন