ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সংস্কৃতি চর্চায় ভূমিকা রাখছে জামালপুরের গান্ধী আশ্রম (ভিডিও)

আবুল কাশেম মুক্তা, জামালপুর থেকে

প্রকাশিত : ১২:১৬, ২ অক্টোবর ২০২৩

সংস্কৃতি চর্চা ও শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখছে জামালপুরের কাপাশহাটিয়ার গান্ধী আশ্রম। একে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘর। ঠাঁই পেয়েছে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাসের নানা দুর্লভ আলোকচিত্র ও স্মৃতিচিহ্ন। আশ্রম ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটন সম্ভাবনাও। 

১৯৩৪ সাল, জামালপুরের কাপাশহাটিয়া তখন অজপাড়াগাঁ। গান্ধী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখানকার কৃষক নেতা নাসির উদ্দিন সরকার গড়ে তোলেন গান্ধী আশ্রম। 

ব্রিটিশবিরোধী নানা আন্দোলন সংগ্রামের পরিকল্পনা হতো এখানে। এছাড়া মানুষকে স্বদেশি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে চরকায় সুতা তৈরি, হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও শরীরচর্চা কার্যক্রমও চালানো হতো।

বিভিন্ন সময়ে আশ্রমে এসেছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, কমরেড মণি সিংহ, আবদুস সাত্তারসহ গুণীজনরা। অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বৈঠকে।

কিন্তু দেশ ভাগের পর ধীরে ধীরে আশ্রমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আশ্রমটি এখন পরিচালিত হচ্ছে ট্রাস্টের মাধ্যমে।   

গান্ধী আশ্রম ও মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচালক উৎপল কান্তি ধর বলেন, “বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের গৌরবের যে ইতিহাস তা এখানে সংরক্ষিত রয়েছে। তা দেখে বাঙালি যাতে অনুপ্রাণিত হয় এবং ইতিহাসের চেতনায় প্রাণিত হয় আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।”

আশ্রমের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘর। এখানে শোভা পাচ্ছে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের নানা ইতিহাস।

জামালপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, “স্মার্ট কালচারাল এক্টিভিট সবকিছুর জন্যই এই মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর তথা গান্ধী আশ্রম সময়োপযোগী উদ্যোগ।”

মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘরে নানা ইতিহাস ও আশ্রম দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল অতিথিশালা।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দর্শনার্থীরা এখানে এসে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারছেন। পাশাপাশি, বিনামূল্যে নানা প্রশিক্ষণ দেয়াসহ সংস্কৃতি চর্চায়ও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি