ইউনিক ক্লাস্টারে একসাথে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও গ্যেটে
প্রকাশিত : ২২:৫৯, ১১ জুলাই ২০১৮
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রচারণা ও সংস্কৃতির পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আজ বুধবার ফ্রঙ্কো-জার্মান দূতাবাসে ইউনিক (ইউরোপিয়ান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কালচার) ক্লাস্টার সদস্যদের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তিরিঙ্ক, ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি আনিক বুহ্দাঁ, ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত টমাস হেনরিখ প্রিনজ। বাংলাদেশে ক্লাস্টারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট বিস্তৃত পরিসরে নিয়মিত ভিত্তিতে এ বিষয়ক নানা কার্যক্রম আয়োজন করছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউনিক বাংলাদেশের লক্ষ্য ইউরোপিয় সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ওপর আলোকপাত করে বাংলাদেশের অংশীদার ও অংশীজনদের সাথে নানা কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ইইউ’র উপস্থিতি বাড়ানো। ইউরোপিয় ইউনিয়নের লক্ষ্যের ভিত্তিতে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক প্রকল্প ও শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউনিক বাংলাদেশ ক্লাস্টারের লক্ষ্য বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক অনুশীলনের সাথে যুক্ত করা যা বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এর পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম বলেন, ‘ঐতিহ্য ও নিজস্ব সংস্কৃতির দিক থেকে বাংলাদেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। বৃহৎ পরিসরে এ ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন অর্জনে সহয়তা করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রায় ৭০ বছর ধরে কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশের সৃষ্টিশীল প্রেক্ষাপটের চিত্র তৈরিতে আমরা সাম্প্রতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং এ উদ্যোগের একটি শক্ত ভিত্তি তৈরিতে আমরা আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে গ্যেটে ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করছি। যা একইসাথে প্রত্বতাত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিস্তৃত প্রচারণায় আন্ত:সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিতে পাশাপাশি, এ খাতে দক্ষতার সমন্বয় ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।’
এ নিয়ে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস বলেন, ‘রাজধানীতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের তিনটি কেন্দ্র রয়েছে এবং ফরাসি ক্লাসে প্রতিষ্ঠানটি ছয় হাজারের বেশি এনরোলমেন্ট করেছে, এর পাশাপাশি, বছরে একশো’র মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করছে। ইউনিক বাংলাদেশ তৈরির মাধ্যমে ইউরোপ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্পে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও গ্যেটে ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত”।
গ্যেটে ইনস্টিটিউটের ইন্সটিটিউট পরিচালক কার্স্টেন হ্যাকেনব্রক বলেন, ‘বাংলাদেশের অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভাষাশিক্ষায় ইউরোপীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্যেটে ইনস্টিটিউট। অতীতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট একসাথে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্প ও কর্মশালায় বাংলাদেশের ঐতিহ্য যেমন ফ্যাশন ডিজাইন, স্থাপত্য নিদর্শন ও পাট দিয়ে নির্মিত আসবাবপত্র নিয়ে কাজ করেছে। ইউনিক বাংলাদেশের এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করবে।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট নিয়মিতভাবে দেশের বিভিন্ন উৎসব যেমন ছবি মেলা, ঢাকা আর্ট সামিট, ঢাকা লিট ফেস্ট, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব, ঢাকা লোকসঙ্গীত উৎসব ও দক্ষিণ এশীয় আর্ট বিয়েনাল আয়োজনে সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে।
ঢাকায় আরবান স্টাডি গ্রুপ সহ প্রত্বতাত্তিক ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষার ইউনিক, স্থানীয় সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। সাধারণভাবে, সবার জন্য বন্ধ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকে ভবনগুলোতে অভিগম্যতা বৃদ্ধিতে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সাথে জাতীয় ঐতিহ্য দিবস ঘোষণায় ইউনিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ইউনিক, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন