ফেসবুকে বন্ধু হওয়ার আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
প্রকাশিত : ১২:৫৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৩৬, ১২ মার্চ ২০১৮
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেইসবুক অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতিনিয়তই অনেক মানুষ ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় যুক্ত হতে চায়। আমরা নিজেরাও অনেক পরিচিত মানুষকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে থাকি।
তবে ফেসবুকে কাউকে বন্ধু করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কেননা ফেসবুক এখন শুধু একটি শেয়ারিং প্লাটফর্ম নয়, বর্তমানে এটি ব্যক্তিগত ভার্চুয়াল ডায়েরিতে পরিণত হয়েছে।
চাকরি থেকে শুরু করে লেখাপড়া অনেক ক্ষেত্রেই স্বল্প পরিচয়ের মানুষকে ফেইসবুক আইডি দিতে হয়। আর তাই এ মাধ্যমটি সচেতনভাবে ব্যবহার করা উচিত। ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠানো এবং বন্ধু হওয়ার সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই কি কি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
অপরিচিতদের রিকোয়েস্ট না পাঠানো
ফেসবুকে সচেতন ব্যবহারকারীরা সাধারণত অপরিচিত মানুষের রিকোয়েস্ট গ্রহণ করেন না। আর অপরিচিত মানুষকে রিকোয়েস্ট পাঠালে অনেকেই বিরক্ত হতে পারেন। তাই অচেনা মানুষকে রিকোয়েস্ট না পাঠিয়ে চেনা মানুষকে পাঠানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে করে অন্যরা বিরক্ত হবেন না।
যে কারণে রিকোয়েস্ট পাঠাবেন
কোন মানুষ কি কারণে রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছেন তাও খেয়াল রাখতে হবে। অনেক মানুষকেই আপনি চিনে থাকতে পারেন কিন্তু তারাও যে আপনাকে চিনতে পারবে এমন কোনো কথা নেই। এ ক্ষেত্রে যে কারণে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন তা জানিয়ে একটি বার্তাও পাঠাতে পারেন। এতে করে অপরিচিত ব্যক্তিটি বুঝতে পারবেন কেনো তাকে রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে এবং বিরক্তবোধ করবেন না।
সচেতন বন্ধুদের সঙ্গে কি কি শেয়ার করবেন?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন যেন ব্যক্তিগত ডায়েরিতে পরিণত হয়ে গেছে। ফেইসবুকে প্রতি মুহূর্তে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক তথ্য, স্মৃতি ও ছবিসহ অনেক কিছুই শেয়ার করা হয় । তাই আপনার একান্ত ব্যক্তিগত কোনো পোস্ট অচেনার বন্ধুদেরকে দেখাতে চান কিনা তাও ভেবে দেখে তারপর সবকিছু শেয়ার করা উচিত।
বন্ধু হওয়ার আবেদন গ্রহণ
ভার্চুয়াল জগত অনেক অচেনা মানুষই আপনার বন্ধু হতে রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে। সবার উদ্দেশ্য ভালো হবে এমনটার নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং ফেইসবুকে কারো বন্ধু হওয়ার আবেদন গ্রহণ করার আগে তার প্রোফাইলটি ভালো করে দেখে নিয়ে যাচাই-বাচাই করা উচিত।
কেআই/ এআর