শিশুর গলায় কিছু আটকে গেলে যা করবেন
প্রকাশিত : ১০:০০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৩৬, ১২ মার্চ ২০১৮
কিছু সময়ের জন্য বাচ্চাদের চোখের আড়াল করলেই তারা কিছু না কিছু অঘটন ঘটিয়ে বসে। তাদেরকে নিয়ে মায়েদের সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। এই কিছু করে ফেলল মনে হয়! বাচ্চারা হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে গলায় কোন কিছু আটকিয়ে যাওয়ার মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হয়।
এছাড়া মাছ খাওয়ানোর সময় আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা গলায় খুব নরম মাংস থাকে। এ কারণে মাছের কাটা খুব সহজেই ফুটে যায়। তাছাড়া অনেক ফলের ছোট ছোট বীজ থাকে যা বাচ্চারা সেটা গিলে ফেলার চেষ্টা করে। তখন সেটি গলায় আটকে যায়। গলায় বেশিক্ষণ আটকে থাকলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এমনকি এই সমস্যায় বাচ্চারা মারাও যেতে পারে।
তবে চিন্তার কিছু নেই। এই সমস্যা দূর করতে কিছু উপায় আছে। এই উপায়গুলো একুশে টিভি অনলাইনে দেওয়া হলো-
১) গলায় যদি মাছের কাটা আটকে যায় তাহলে চিন্তা করার কিছু নাই। সামান্য পরিমাণ শুকনো ভাত নিন। তারপর সেটিকে ভালো করে মেখে বাচ্চার মুখে দিন। ওটা না চিবিয়ে বাচ্চাকে গিলে নিতে বলুন। একবারে কাজ না হলে আবার দিন। দেখবেন কাঁটা চলে যাবে।
২) হালকা গরম জলে লবণ মিশিয়ে তা খাওয়ান। এতে কাঁটা নরম হয়ে গলে যায়। পানির সঙ্গে কাটা চলে যায়।
৩) পানি ছাড়াও কলা খাওয়াতে পারেন। একটা পাকা কলা ভালো করে চটকে নিন। তারপর সেটি বাচ্চাকে খাওয়ান। ওই একইভাবে গিলে নিতে বলুন। কলার সঙ্গে কাটা আটকে পেটে চলে যাবে।
৪) কাটা বা ছোট বীজ লাগলে যাই খাওয়ান না কেন একটু শুকনো আর শক্ত খাবার খাওয়াবেন। তাতে কাটা বা ফলের বীজ দুটোই গলা থেকে নেমে যাবে। শুকনো মুড়িও খাওয়াতে পারেন। তাতেও একই কাজ হবে।
৫) বাচ্চাকে হেলে পিঠে জোরে জোরে মারবেন। সেই মারের চোটে বীজ বা কোন খেলনাও যদি গলায় ঢুকে যায় তাহলে তা বেরিয়ে যেতে পারে।
তবে কাটা বা বীজ যাই আটকে যাক না কেন ঘরোয়া উপায় যদি সেই সমস্যা দর না হয় তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বেশিক্ষণ যদি গলায় কোনও জিনিস আটকে থাকে তাহলে বাচ্চার শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় তাই বেশি দেরি করা উচিত নয়।
তবে লেবু, কোকাকোলা ও সোডা জাতীয় কোনও খাবার বাচ্চাকে সে সময় দেবেন না। কারণ গলায় কোনও কিছু আটকে যাওয়ার ফলে অনেক সময় গলার ভিতরের মাংস কেটে যায়। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়ালে বাচ্চার গলায় সমস্যা তৈরি করে।
তথ্য সূত্র : ইনাডু ইন্ডিয়া।
/কেএনইউ/ এআর