অর্থ সাশ্রয়ের ১০ উপায়
প্রকাশিত : ২০:২০, ১৭ মে ২০১৮
নানা কারণে আমাদের খরচ বেড়ে যায় প্রায়ই। কিন্তু উপার্জন তো প্রতিদিন বাড়ে না। তাই অন্যান্য খাতে খরচ কমিয়েই মেটাতে হবে বাড়তি অর্থের প্রয়োজন। কারণ আজ হয়তো অর্থ সঙ্কট নেই, কিন্তু কাল হলেও হতে পারে। একটা কথা মনে রাখবেন, অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে অপচয় রোধ করা এবং কৌশল খাটিয়ে খরচ কমানো এবং টাকা জমানো। চলুন জেনে নিই অধিক অর্থ সাশ্রয় করার কৌশলগুলো-
সুপার শপ হতে কেনা কাটা বন্ধ করুন
কষ্ট করে হলেও ছুটির দিনে বাজার হতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সংগ্রহ করুন। এতে করে প্রতিটি জিনিসেই কিছু টাকা করে কমে যাবে। এছাড়া বাড়তি ভ্যাটও দিতে হবে না। ফলে মাস শেষে দেখবেন অনেকগুলা টাকা বেঁচে গেছে।
একসঙ্গে বেশি জিনিস কিনবেন না
একসঙ্গে বেশি কেনা হলে সবটা কখনোই ব্যবহার করা হয় না। ফলে অনেকটাই নষ্ট হয়। তাই যেটুকু প্রয়োজন, কেবল সেটুকুই কেনা অভ্যাস করুন।
রেস্তোরাঁয় খাওয়া বাদ দিন
রেস্তোরাঁয় খাওয়া মানেই খাবারের মূল্যের অন্তত ৩/৪ গুণ অর্থ দিয়ে আসা। তাই বন্ধু বান্ধবের সঙ্গেও বাড়িতে আড্ডা দিন। আর রেস্তোরাঁর খাবার বাড়িতেই তৈরি করার চেষ্টা করুন। দেখবেন খরচ হবে অর্ধেকেরও কম। সেইসঙ্গে সময়টাও কাটবে অনেক ভালো।
হুট করেই কিছু কিনে ফেলবেন না
আসলেই জিনিসটি আপনার প্রয়োজন কি-না সে ব্যাপারটি নিয়ে ভাবুন। কয়েকদিন ভাবার পরেও যদি জিনিসটি কেনার ইচ্ছে থাকে, তবেই কিনুন।
অনলাইনে কেনাকাটা বাদ দিন
অনলাইনে কেনাকাটা করা সহজ। তাই অহেতুক বেশি জিনিস কেনা হয়ে যায়। কিন্তু অর্থ বাঁচাতে চাইলে এটা বাদ দিতে হবে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক ও গহনা কেনা বাদ দিন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অনেক দাম দিয়ে পোশাক কিনি। কিন্তু একবার পরার পর যা হয়তো আর পরা হয় না। তাই এমন ব্যাপারটি পরিহার করুন।
যাতায়াতে খরচ কমান
সিএনজি একদমই পরিহার করুন। কারণ তারা অহেতুক বেশি ভাড়া আদায় করে। এর বদলে উবার বা এই ধরনের সার্ভিসগুলো ব্যবহার করুন। কারণ এসব সার্ভিসে প্রায় সব সময়ে ছাড়ের অফার চলে।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিন
আজকেল অনলাইনে ব্যবহৃত পণ্য বিক্রয় করার অনেক গ্রুপ ও সাইট আছে। ব্যবহৃত পোশাক হতে শুরু করে ঘরের সামগ্রী, আপনার যা প্রয়োজন নেই, এমন সব কিছুই বিক্রয় করে দিন।
রূপচর্চায় খরচ কমানো যায় চাইলেই
দামি পার্লার বা সেলুনে না গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো মাঝারি মাপের পার্লার বা সেলুন থেকে সেরে নিন। দেখবেন এতে খরচ কমে অর্ধেক হয়ে যাবে।
উপহার নিয়ে ভাবুন
সামাজিক প্রয়োজনে দাওয়াতগুলোতে যেতেই হয়। আর দাওয়াতে খালি হাতে তো আর যাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে কেবল দামের কথা না ভেবে ভিন্নপথে হাঁটুন। যেমন, কারো বাড়িতে লাঞ্চ বা ডিনারের দাওয়াত থাকলে নিজের হাতে একটা ডিশ রেঁধে নিয়ে যান। জন্মদিন বা বিয়ের দাওয়াতে হাতে তৈরি উপহার, দেশিয় পণ্য কিংবা ফুলের বুখে উপহার দিন।
একে/ এমজে