ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ওজন কমাতে ডায়েট পিল নয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৪, ৩১ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৫২, ৪ জুন ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

ওজন কমানোর জন্য যারা বিভিন্ন ওষুধ গলাধঃকরণ করছেন, তাদেরকে সতর্কবানী দিচ্ছে নতুন এক গবেষণা। কিশোরীদের ক্ষেত্রে খিদে কমানোর ওষুধ হরমোনের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ফলাফলে দেখা যায়, সব বয়সেই এই ওষুধগুলো ক্ষতিকর। কারণ, এগুলোতে থাকে বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান। তবে কিশোরীদের ক্ষেত্রে তা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

গবেষকরা বলেন, শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করে এই ওষুধগুলো। ফলে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিশেষত, লৌহ ও পটাশিয়ামের অভাব দেখা দে।

কানাডিয়ান পেডিয়াট্রিক সোসাইটির গবেষকরা বলেন, বাড়ন্ত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে পুষ্টি উপাদানের সামান্য পরিমাণ অভাবেই তাদের শারীরিক ও মানিসিক বিকাশ হ্রাস পায়।

ওজন কমাতে সহায়ক ওষুধগুলোকে মেদ ঝরানো ও সুঠাম শারীরিক গঠন পাওয়ার দ্রুত ও সহজ উপায় হিসেবে প্রচার করা হয়। তবে এগুলো সঙ্গে আনে মারাত্বক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন, হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া, জ্ঞান হারানো, মাসিক চলাকালে অস্বাভাবিক রক্তপাত এবং হার্ট অ্যাটাক।  

অবস্থা বেগতিক হলে পাকস্থলীর আস্তরন ছিঁড়ে ফেলতে পারে এই ওষুধগুলো, হতে পারে মৃত্যুর কারণ।

একই বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটা’র করা আরেক গবেষণায় বলা হয়, ৬৩ শতাংশ কিশোরী পাতলা শারীরিক গড়ন ধরে রাখতে এসব অস্বাস্থ্যকর ওজন নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করেন।

প্রায় ২২ শতাংশ কিশোরী স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ওজন নিয়ন্ত্রক জীবন-যাপন করেন।

গবেষণার দাবি, গত পাঁচ বছরে কিশোরীদের মধ্যে এই ওষুধগুলো সেবনের প্রবণতা সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.২ শতাংশে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ সেবনের পরিবর্তে চাই নিয়মিত শরীরচর্চা, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা। বলেন গবেষকরা।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি