ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে তথ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বার্তা
প্রকাশিত : ১৪:৩১, ৭ আগস্ট ২০২১
চলমান মহামারী করোনা আতঙ্কে দেশ ও বিশ্ববাসী। চিকিৎসা সংকট এখনও কাটেনি। এ অবস্থায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা। এক্ষেত্রে বেশি আতঙ্কে আছেন নিম্ন আয়ের কর্মজীবি মানুষ। লকডাউনে ঘরে বসে থাকায় একদিকে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ভয়াবহতা। সবমিলে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় দীন কাটছে সবার। তবে মশক বাহিনীর এ অপতৎপরতা রুখতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মূলত একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই এ রোগ দুটি সেরে যায়, তবে “ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার” মারাত্মক হতে পারে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বর্ষার সময় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই এ সময় অধিক সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
গত ২ আগস্ট তথ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে বেশ কিছু পরামর্শ অনুসরণের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তথ্য অধিদপ্তরের পরামর্শগুলো হলো:
-
ঘরে এবং আশেপাশে যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিনদিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে।
-
ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
-
মনে রাখতে হবে- ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী সেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।
-
পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে।
-
দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে।
-
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
এনএস//