স্মার্টফোনের আসক্তি রোধে ৫ করণীয়
প্রকাশিত : ১৬:৫৯, ৩ জুলাই ২০১৮
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। শুধু কথা বলার জন্য নয়, সামাজিক যোগাযোগ, ই-মেইল, ছবি তোলা, গানশোনা, ভিডিও দেখাসহ নানান কাজে এটি ব্যবহূত হচ্ছে। দিনের অনেকটা সময় ব্যয় হয় এই স্মার্টফোনের পেছনে। অনেকে আবার শোবার পরেও স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। আবার ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে ফোন চেক করে থাকেন।
শুধু তাই নয়, অনেকে রাতের অধিকাংশ সময় জুড়ে মোবাইলে প্রিয়জনের সাথে মেতে থাকেন।কোনো কারণে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আবার ফোন ব্যবহার করে থাকেন। অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী কাজ বা আড্ডার পরিবর্তে স্মার্টফোনে সোশ্যাল সাইট বা ই-মেইল চেক করে থাকেন ।
তবে স্মার্টফোনের অধিক ব্যবহার আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে। এই আসক্তি ব্যবহারকারীদের নানাভাবে ক্ষতি করছে আমাদের জীবনে। দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এই স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারি।চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির কার্যকর উপায় কি?
অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন
অপ্রয়োজনীয় সব নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন, বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ব্যতিক্রমের তালিকা আপডেট করে কেবল তাদের নোটিফিকেশন চালু রাখুন। আর তা করতে আপনার আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে ব্যাজ নামে পরিচিত ডট আইকনটি বন্ধ করে দিন। আপনি অবশ্য চাইলে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপের নোটিফিকেশন আলাদাভাবেও বন্ধ রাখতে পারেন। আর ফেসবুকের নোটিফিকেশন বন্ধ করতে চাইলে এর নিজস্ব সেটিংসে যেতে হবে।
নিয়মিত ডিটক্স করুন
খাবার খাচ্ছেন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন এমন সময়ে স্মার্টফোনটি দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এমনকি ছুটির দিনগুলোতে মোবাইল বন্ধ রাখার চেষ্টা করতে পারেন। ফোনের সংস্পর্শে না থাকাটা আপনার মস্তিস্ককে রিসেট করতে সাহায্য করবে।
সময় নির্ধারণ করুন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কেড়ে নেয়। এক্ষেত্রে ফেসবুক বা ই-মেইল বা যেকোনো মাধ্যমের তাৎক্ষণিক বার্তা পড়ার জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে রাখুন। তারপর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকুন ওই নির্ধারিত সময়ের বাইরে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কোনো চেক ইন এবং স্ট্ক্রলিং করবেন না। এর পাশাপাশি আপনার ফোনের ফেসবুক অ্যাপটি মুছে ফেলার চেষ্টা করুন এবং শুধু একটি কম্পিউটার থেকে ফেসবুক ব্যবহার করুন।
অটোপেল্গ বন্ধ রাখুন
ইউটিউব এবং নেটফ্লিক্সের মতো পরিসেবাগুলো প্রায়ই একটি ভিডিও দেখার পর স্বযংক্রিয়ভাবে পরবর্তী ভিডিওটি প্রদর্শন করে থাকে। এতে করে অনেক সময়ে বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে হয় এবং কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। তাই স্মার্টফোনে এ সব সাইটের অটোপ্লে অপশনটি বন্ধ রাখুন। সেটিংসে গিয়ে অতি সহজেই এই অটোপেল্গ বন্ধ করা যায়।
অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন
হিউম্যান টেকনোলজি সেন্টার নামের একটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিছানায় কখনই স্মার্টফোন রাখা উচিত নয়। কারণ স্মার্টফোন নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। কারণ ফোন থেকে যে নীল আলো বের হয়, তা আমাদের শরীরের মেলাটোনিন অবমুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এই মেলাটোনিন রাতে ঘুমাতে সাহায্য করে।
সুতরাং রাতে ঘুমানোর সময় আপনার ফোনটি বিছানা থেকে একটু বেশিই দূরে রাখুন। এবং অ্যালার্ম দেওয়ার প্রয়োজন হলে আলাদা অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন।
সূত্র : টেকওয়ার্ল্ড।
কেআই/ এআর