বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর পুরোটাই দৃশ্যমান, খুলছে জানুয়ারিতে
প্রকাশিত : ১২:০১, ২১ এপ্রিল ২০২৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর আরেক সমৃদ্ধির স্মারক এই সেতু এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। কিছু কাজ বাকি থাকায় আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে পুরো কাজ, জানান কর্তৃপক্ষ। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে খুলে দেয়া হবে এই রেলসেতুটি।
যমুনার বুকে দাঁড়িয়ে দেশের সমৃদ্ধিকে যেন জানান দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩শ’ মিটার উত্তর পাশেই নির্মিত হচ্ছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলওয়ে সেতুটি।
জাপানের জাইকা ও সরকারের যৌথ সহযোগিতায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর শুরু হয় রেলসেতুর কাজ। টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ দুই ভাগে বিভক্ত করে করা সেতুর কাজটি এখন শেষ পর্যায়ে। ৫০টি পায়ার নির্মাণের পর ৪৯ নম্বর স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে এ সেতু এখন দৃশ্যমান।
রেল সেতুর অন্যান্য কাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হলে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে খুলে দেয়া হতে পারে জানালেন প্রকল্প পরিচালক।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, “অন্যান্য কাজ শেষের মধ্যেদিয়ে ডিসেম্বরে শেষনাগাদ প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে। এটাই আমাদের টার্গেট।”
দেশি-বিদেশী ৫ সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রকৌশলীদের সেতুটির বাস্তবায়ন ও দেশের বৃহৎ রেলসেতু নির্মাণের সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা।
প্রকৌশলীরা জানান, অনুভূতি বলে শেষ করা যাবে, বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রজেক্ট এটা। এরকম একটা মেগাপ্রজেক্টে কাজ করতে পেরে নিজে গর্ববোধ করছি।
দাবি উঠেছে আগামী বিজয়ের মাসেই রেলসেতু উদ্বোধনের।
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাভু বলেন, “বঙ্গবন্ধু রেলসেতু চালু হলে পুরো উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলেরও আংশিক আমরা সুবিধা ভোগ করবো।”
সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, “উত্তর জনপথ রাজধানীর সাথে তথা সারা পৃথিবীর সাথে কানেকশন হয়ে গেল। উন্নয়ন হবে মানুষের, উন্নয়ন হবে শিল্পের।”
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেল যোগাযোগ শুরু হয়। ২০০৮ সালে হঠাৎ বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটলের কারণে কমিয়ে দেয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন পারাপার করা হচ্ছে পুরোনো রেলসেতু দিয়ে।
এএইচ