কর্ণফুলী টানেলের অগ্রগতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৪৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৪:৪৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে। নির্মিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। এর মধ্যে শেষ হয়েছে ৫৬ শতাংশ কাজ। কর্মকর্তারা জানান, নির্মাণ শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মধ্যে। কর্ণফুলি টানেল চালু হলে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলীর নীচে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। নদীর তলদেশ থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ নির্মাণের পর বসানো হচ্ছে দুইটি টিউব। প্রতিটি টিউব চওড়ায় ৩৫ ফুট এবং উচ্চতায় ১৬ ফুট। টানেলটি নির্মাণের কাজ চলছে রাতদিন। পরিচালক জানান, ২০২২ সালের মধ্যেই শেষ হবে এই প্রকল্প।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো: হারুণ অর রশিদ বলেন, প্রকল্পের বর্তমান কাজের বাস্তব অগ্রগতি হচ্ছে ৫৬.৫ শতাংশ। আমাদের যে নির্ধারিত ২০২২ সালের ডিসেম্বর, তার মধ্যেই সম্পাদন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
টানেলটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন নাগরিক আন্দোলনের নেতারা। জানান, এই অবকাঠামো পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটাবে।
নাগরিক আন্দোলনের নেতা ও সাংবাদিক এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, টানেলটা হওয়ায় ভালো যোগাযোগের কারণে অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে বাংলাদেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় একটা মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে।
টানেলটি চট্টগ্রামকে জমজ শহর হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদের শহরটা সম্প্রসারণ করা দরকার। সম্প্রসারণ করতে গেলে এই টানেলের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এর মাধ্যমে টু’ইন সিটি প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে।
টানেলটি নির্মাণে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং টানেলটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এএইচ/এসএ/