চালের কুঁড়া থেকে বিদ্যুৎ ও সিলিকা উৎপাদন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৪, ২৪ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১২:২০, ২৪ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশে এই প্রথম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে চালের কুঁড়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। পোড়ানো কুঁড়ার ছাই থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে সিলিকা। এই সিলিকা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন কারখানায়। অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এই প্রকল্পকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
চিলারং ইউনিয়নে সাসটেইনেবল এনার্জি এন্ড এগ্রো-রিসোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান ইটকলের সহযোগিতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে চালের কুঁড়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। সেই কুঁড়া পোড়ানোর ছাই থেকে সিলিকা উৎপাদন করে তা বাজারজাত করছে।
এই সিলিকা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাবার, টায়ার, পেইন্ট, কসমেটিক, টুথপেস্ট, ফার্মাসিউটিক্যাল, ফ্রুট, কীটনাশক ও সোলার সেল ইন্ডাস্ট্রিজে।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
কোম্পানির তথ্য মতে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৪ কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। এই পরিমাণ ধান প্রক্রিয়াজাতকরণে ৮০ লাখ টন চালের কুঁড়া ও ২০ লাখ টন ছাই উপজাত হিসেবে পাওয়া যাবে। অথচ এই কুঁড়া শুধুমাত্র বয়লারের জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
সাসটেইনেবল এনার্জি এন্ড এগ্রো-রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান বাবু বলেন, “যেই জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি সেটি থেকে যে কার্বন বের হচ্ছে তা কিন্তু বাতাসে ছাড়া হচ্ছে না। সেই কার্বন-ডাই অক্সাইড দিয়ে আমরা সিলিকা তৈরি করছি।”
নির্বাহী পরিচালক আবুল ফজল মানিক বলেন, “টেকনোলজি পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানের যে বিভিন্ন গ্রেডেশন, সেটা করাও আমাদের জন্য পসিবল।”
পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্প দেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, “মনে হয়েছে এটা পরিবেশবান্ধব এবং রি-সাইকেল।”
বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন সিলিকা আমদানি করা হয়। এই প্রকল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আমদানিনির্ভরতা কমার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সিলিকা উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ