ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাজনীতিতে ব্যর্থ শমী, ব্যক্তিজীবনে খুঁজছিলেন সুখের ঠিকানা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৩, ৬ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৭:১৭, ৬ নভেম্বর ২০২৪

এক সময়ের জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী শমী কায়সার।  এই অভিনেত্রী আওয়ামী সংস্কৃতি অঙ্গনের আস্থাভাজন ও আওয়ামী লীগ সরকারপন্থী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি। ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন তিনি। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন শমী কায়সার। গত পহেলা আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন পরিদর্শন করে শমী কায়সার বলেছিলেন, ‘বিটিভি প্রাঙ্গণে এসে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি’। সেইসঙ্গে এই ধ্বংসযজ্ঞের পেছনে যারা রয়েছে তাদের শাস্তিও দাবি করেন তিনি।

তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলাও হয়েছে। 

এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না, গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। 

রাজনৈতিক জীবনে বর্থ এই অভিনেত্রী ব্যক্তি জীবনেও সুখের ঠিকানা খুঁজছিলেন। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় নির্মাতা অর্ণব ব্যানার্জী রিঙ্গোকে বিয়ে করেন। দুই বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়।  পরবর্তীতে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে। নানা কারণে সেই সংসারও টেকেনি শমীর৷ এরপর তিনি ঘর বাঁধেন রেজা আমিন সুমনের সঙ্গে।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সার ও লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার দম্পতির সন্তান। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ই-ক্যাব সভাপতি ছিলেন। হয়েছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালকও। সরকার পতনের পর ই-ক্যাব সভাপতির পদ ছাড়েন শমী।

 

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি