ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

থেমে নেই ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রচারণা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫২, ১১ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ২৩:০৬, ১১ জুলাই ২০২০

হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন নেতা। এরইমধ্যে অনেকেই পোস্টার বিলবোর্ড টাঙিয়ে প্রার্থীতার কথা জানান দিয়েছেন। এদিকে জাতীয় পার্টিও আসনটি চায়। অন্যদিকে দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী।

ভোটের দিন তারিখ এখনো ঠিক না হলেও ব্যানার, পোস্টার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনি এলাকা। আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন প্রার্থী মাঠে তৎপর রয়েছেন। তবে বিএনপিতে সক্রিয় রয়েছেন একজনই। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যান। এ উপনির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দিলে প্রার্থী হতে তার মৃত্যুর পরই দৌড়াতে শুরু করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। অনেকেই নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন বিভিন্ন কর্মসূচির আড়ালে। কর্মীদের সংগঠিত করতে করছেন উঠান বৈঠকও। 

সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা কৌশলে নির্বাচনি এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছেন। অন্তত ১০ জন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন। জাতীয় পার্টি ও জাসদের দু’জন প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপির একমাত্র প্রার্থী মাঠে থাকলেও করোনার মধ্যে নির্বাচনের বিপক্ষে বলে তিনি জানান।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন জানান, দলের দুঃসময়ে সব সময় পাশে ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলার আসামী হয়েছি। জেল খেটেছি। এই এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন একজন দক্ষ সংগঠক ও জনপ্রিয় লোক। আমি মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদী।

প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তিনিও তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য জোরালো চেষ্টা তদবির শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই। প্রতিটি জনগনের আপদে বিপদে পাশে থাকতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বরাবরই মোল্লা বাড়ির ওপরে আস্থা রেখেছেন।আমার বাবা সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। আমার বাবার অবর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রাখবেন বলে আশা করি।

মনোনয়ন নিয়ে আলোচনায় আছেন আরেক নেতা যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দলের বিভিন্ন সংকটে কাজ করেছি। মনোনয়ন পেলে আরও ভালোভাবে জনগণের সেবা করতে পারবো।’ 

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেহরীন মোস্তফা দিশি জানান,  আমরা যদি প্রযুক্তি চালিত শিল্পায়ন করতে পারি তাহলে সেই শিল্পায়নের মাধ্যমে উন্নতি প্রগতি এবং সমৃদ্ধ একটা ঢাকা- ৫ আশা করতে পারি। আমি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে চাই। 

নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী দলের সিদ্ধান্তের আশায় আছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবদুস সবুর আসুদও জোট থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী থানার আংশিক নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসনে ভোটার প্রায় ৫ লাখ। শূন্য আসনে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার নিয়ম অনুযায়ী জুলাই কিংবা আগস্টে নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে করোনা মহামারীর জন্য নির্বাচন কমিশন সময় পাবে বাড়তি তিন মাস।

এসইউএ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি