ওয়ারিতে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দিলেন ডিএসসিসি মেয়র
প্রকাশিত : ১৭:২২, ১৬ জুলাই ২০২০
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ওয়ারিতে আরও কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তাবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুহস্পতিবার (১৬ জুলাই) নগর ভবনে ওয়ারি লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটির দ্বিতীয় পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
তিনি এ সময় লকডাউনকৃত এলাকার বাসিন্দাদেরকে আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ এই লকডাউন কার্যকরে সর্বাত্মক সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।
করোনা মহামারির সময়ে ব্যবসা মূখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না, জনগণকে ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, লকডাউনকৃত এলাকায় অবস্থিত প্যাসিফিক ফার্মাসিউক্যালসসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় এবং ৩টি সুপারশপের মধ্যে যৌক্তিকতা বিবেচনায় যে কোনো ১টি সুপারশপ খোলা রেখে বাকি দু’টো বন্ধ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়াও ই-কমার্স প্লাটফর্মের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহকারী ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা প্রদান করতে বলেন এবং অন্যান্য সকল ব্যক্তির যাতায়াত বন্ধ করারও নির্দেশ দেন। একই সাথে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্যাম্পল দিতে আরও বেশি সচেতন হওয়ার জন্য তিনি জনগণকে আহ্বান জানান।
প্রায় লক্ষাধিক লোকের এলাকায় গত ১১ দিনে মাত্র ১৪৮ জন লোকের স্যাম্পল প্রদান বাস্তবিক চিত্রের প্রতিফলন হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণকে আরো বেশি পরিমাণে স্যাম্পল দিতে সচেতন করুন, উদ্বুদ্ধ করুন। কারণ, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলছে, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার এবং বর্তমান সংক্রমণের হার প্রায় একই, যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
যে সকল বাসা-বাড়িতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী রয়েছে, সে সকল বাড়ির বাসিন্দারা যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।
এ সময় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো এবং আইইডিসিআর এর প্রতিনিধি সভায় জানান, এলাকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আজ থেকে ২৮টি টিম বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনগণকে স্যাম্পল প্রদানের আহ্বান জানাবে এবং এই স্যাম্পল প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি ২০০ টাকাও জনগণকে দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এলাকার লোকজন স্যাম্পল নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
সভায় জানানো হয়, লকডাউন শুরুর সময়ের সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশ বর্তমানেও তা প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬০০ লোককে তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন সকাল বেলা প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এসি
আরও পড়ুন