রাজধানীতে জাল এনআইডি তৈরি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৫:২৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে জাল, দ্বৈত ও ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা জাল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনে সহায়তা করতো বলে ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এ কথা জানানো হয়।
সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের টিম গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের ডি-ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. সুমন পারভেজ (৪০), মো. মজিদ (৪২), সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর (৩২), মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৬) ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১)। তাদের হেফাজত থেকে জাল ও ডুপ্লিকেট ১২টি জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ব্যাংকের লোন নিয়ে কেউ ঋণ খেলাপি হলে তাদের সিআইবি খারাপ হয়, ফলে পুনরায় তারা ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন না। তখন গ্রেফতারকৃত সুমন ও মজিদ লোন পাস করে দিবে বলে প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির জন্য প্রত্যেকের নিকট হতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিতেন। পরবর্তী সময়ে লোন পাস হলে লোনের সমূদয় টাকার শতকরা ১০ ভাগ দিতে হবে বলে চুক্তি করতেন। এ জাল পরিচয় পত্র তৈরি করে দিতেন তাদের অপর সহযোগি গ্রেফতারকৃত সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকটি জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতেন।
সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম ই-জোন কোম্পানীর মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করার কারণে তারা নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে পারতেন।
তারা এ পন্থা অবলম্বন করে এমন অনেককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন করে দিয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। (বাসস)
এমএস/
আরও পড়ুন