ঢাকা উত্তরের ৯টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:৪২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশ কম। তবে ঢাকা উত্তর সিটির ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে ঝুঁকিতে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ৩টি ওয়ার্ড। মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, মশা মারার ওষুধ ক্রয়ে সিন্ডিকেট ভেঙে নজরদারি বাড়ানোয় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে।
গত বছর ভয়াবহ আতঙ্ক হয়ে এসেছিল এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর। শুধু ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৫১ হাজার ৭৬২ জন। ছিল মৃত্যুও।
এ বছর করোনা মহামারির মাঝে ডেঙ্গু নিয়ে ভয় বাসা বেঁধেছিল নগরবাসীর মনে। তবে গতবারের সাথে তুলনা করলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই বললেই চলে। তারপরও ঢাকা উত্তর সিটির (১০, ১১, ১৭, ১৯, ২১, ২৩, ২৪, ২৯ ও ৩২ নম্বর) এই ৯টি ওয়ার্ডে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। কল্যাণপুর পাইকপাড়া, খিলক্ষেত, কুড়িলসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি লার্ভা পাওয়া গেছে।
উত্তর সিটির মশক নিধন কার্যক্রম ও মশার উৎপাত নিয়ে নগরবাসী জানিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নগরবাসীরা জানান, সন্ধ্যার কাছাকাছি সময়ে প্রচুর মশা থাকে। আগে সন্ধ্যার পর মশা যেত না, এখন মোটামুটি বসা যায়। এবার মশা মারার নতুন ওষুধ, কর্ম বৃদ্ধি ও তদারকি বাড়ানোসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো বলে দাবি করলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. মমিনুর রহমান মামুন জানান, এবার তিনটি চিরুনি অভিযান করেছি আমরা। পরিকল্পিতভাবে এবং সমন্বয়ের সাথে কাজ করার লক্ষ্য ছিল। বছরব্যাপী কিন্তু ডেঙ্গু হতে পারে, তাই এই ধারাবাহিকতা চলমান রাখতে চাচ্ছি।
মেয়র বলছেন, এবার মশা মারার বাজেট বেড়েছে, নতুন কীটনাশক আনাসহ ডেঙ্গু মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ আছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেট ভেঙে আমরা যে ওষুধ ভালো, সেটা নিয়ে এসেছি। এর ফলে নগরবাসী উপকৃত হচ্ছে। আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করেছি, ডেঙ্গু টেস্ট করার ৪৪টি কেন্দ্র টেস্টার রেখেছি, জনগণকে আমরা উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় নগরবাসিকেও এগিয়ে আসার আহ্বান মেয়রের। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুধু জনগণকে অনুরোধ করবো, আপনারা যততত্র ময়লা ফেলবেন না।
এএইচ/এসি
আরও পড়ুন