ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৩:৫৮, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা ভাল হওয়ায় অনেক স্থানেই শুরু হয়েছে নির্মাণ কাজ। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বেড়েছে ধুলার পরিমাণ। 

এতে করে বাতাসে ভাসছে ধুলা আর ক্ষতির উপাদান। ফলাফল, অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে বায়ুদূষণের সবসীমা। ফলে দিল্লিকে ছাড়িয়ে আবারও শীর্ষে এখন বাংলাদেশের রাজধানী।

বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্যনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বায়ুমান ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় সাতগুণ বেশি দূষিত। ফলে ভারতের ‘গ্যাস চেম্বার’ হিসেবে পরিচিত দিল্লির বাতাসের চেয়েও বেশি দূষিত ঢাকার বাতাস। 

সংস্থাটি বিশ্বের শহরগুলোতে প্রতি ঘণ্টায় বায়ুর মান নিয়ে প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। তাদের দেয়া তথ্যমতে, গত চারদিন ধরে দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ঢাকা। যার বায়ুমান ২৭৩। তবে শনিবার দুপুর নাগাদ ঢাকাকে অতিক্রম করে দিল্লি। যার বায়ুমান ৩০০-উঠেছে। ২৩৯ স্কোর নিয়ে তিনে পাকিস্তান।  ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সুক্ষ ধূলিকণা ছিল ৩২৯ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম।

একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

কেননা, এতে করে পরিবেশের ভয়াবহতা থেকে শুরু করে মানুষের শ্বাস প্রক্রিয়া আক্রান্ত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। বিশ্বের দূষিত শহরগুলোতে মানুষের আয়ু হ্রাস, মৃত্যু ও স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ এ ক্ষতিকর ধূলিকণা। 

জনববহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভূতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ের পৌঁছেছে।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এই শহরের আশেপাশে অবস্থিত ইটভাটাগুলোকে চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তর। 
এআই/এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি