দখল-দূষণে বুড়িয়ে গেছে বুড়িগঙ্গা
প্রকাশিত : ১৩:৩৯, ২৮ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৩:৫০, ২৮ অক্টোবর ২০২১
মাত্রাতিরক্ত দূষণে বুড়িগঙ্গায় জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। আগামীতে জলজ প্রাণীর ফিরে আসার সম্ভাবনাও দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। অপরদিকে দখলের কারণে ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে নদীর দুই পার। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বাঙালির চারশ’ বছরের ঐতিহ্য কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
চারশ’ বছর আগে বুড়িঙ্গার তীরে গড়ে উঠেছে ঢাকা। তবে দখল-দূষণে বুড়িগঙ্গা সত্যিই বুড়িয়ে গেছে।
নদীর দুই পাশেই এখনও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। গৃহস্থালী বর্জ্য, পোড়া মবিল, কারখানা বর্জ্য প্রতিদিনই পড়ছে নদীতে। পানির রং হয়েছে বিবর্ণ। বুড়িগঙ্গার পানিতে ভাসছে ময়লা-আবর্জনা। দূষণের যেনো শেষ নেই।
অতিরক্ত দূষণে পানি তার স্বাভাবিত পিএইচ মাত্রা হারিয়েছে। জীব বৈচিত্র্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হারিয়ে প্রায় প্রাণী শূন্য বুড়িগঙ্গা। এভাবে সময় গড়িয়ে গেলে বুড়িগঙ্গার পানিতে প্রাণ ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কীট তত্ত্ববিদ কবীরুল বাশার বলেন, কোন নদী বা পুকুরে মাছ বা কোন জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন এবং যে পরিমাণ পিএইচ দরকার সেটি বুড়িগঙ্গা নদীতে নেই।
ঢাকার ঐতিহ্য বুড়িগঙ্গার দূষণ আর দখল বন্ধ করে নগরবাসীকে নান্দনিক পরিবেশ উপহার দেয়ার পরিকল্পনা করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এই নদীর অববাহিকায় যে অবৈধ স্থাপনাগুলো আছে সেগুলো আমরা অপসারণ করে জনগণের জন্য সুন্দর, মনোরম, নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করে উপভোগের জন্য খুলে দেবো।
৩০ কিলোমিটারের বুড়িগঙ্গার গড়পড়তা প্রশস্ততা ৪০০ মিটার। আর গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার। ১৯৮৪ সালে এর পানিপ্রবাহ ছিল সর্বোচ্চ দুই হাজার ৯০২ কিউসেক। বর্তমানে পানিপ্রবাহ নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন