আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ
প্রকাশিত : ২১:২৯, ৪ মার্চ ২০২২
আগামি ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, আইএলও কনভেনশন-১৯০ ও ১৮৯ অনুসমর্থনের দাবিতে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়াকার্স ফেডারেশন এবং ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক সমাবেশে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মােঃ ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মিসেস সুইটি, মােঃ ফরিদ উদ্দীন, রােজিনা আক্তার সুমি, রাবেয়া ইসলাম, সাথী বেগম, মােঃ তাহেরুল ইসলাম, সেলিনা হােসাইন, কল্পনা আক্তার, মােঃ ওমর ফারুক, স্বপ্না বেগম, নাজমা, আকলিমা বেগম, রােকসানা ও সালমা।
সংহতি বক্তব্য রাখেন- টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হােসাইন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কার্স লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন, অর্থনীতিকে সচল রাখা, দেশকে স্ব-নির্ভর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তােলার পেছনে আছে শ্রমজীবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম, যেখানে নারীশ্রমিকের অংগ্রহণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক উভয়খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও কর্মস্থলে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা যায় নি। প্রতিরােধ করা যায় নি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি। অথচ কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরনের যৌন হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরােধে মহামান্য হাইকোর্ট সকল প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরােধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ১১টি দফা সম্বলিত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন যেগুলাে প্রতিপালন করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলাের দায়িত্ব। ২০১৯ সালে আইএলও “কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন কনভেনশন-১৯০” (“ইলেমিনেশন অব ভায়ােলেন্স এন্ড হেরাসমেন্ট ইন দি ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক” প্রণয়ন করে যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এই কনভেনশনটি এখনাে অনুস্বাক্ষর করেনি।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে, সম্পত্তিতে মালিকানা, ব্যবস্থাপনা বা নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে নারী এখনও অনেক পিছিয়ে। জেন্ডার বৈষম্যের সবচেয়ে নির্মম বহিঃপ্রকাশ নারী ও কন্যাশিশুর উপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতনের মতাে ঘটনা এবং যা সার্বিক উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকাশ ঘরে, বাইরে এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি এবং নির্যাতনে ভয়াবহ মাত্রা ধারণ করেছে। যা নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। একজন নারী যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে কতটুকু সহায়ক পরিবেশ ও সহযােগিতা পাবে তা নির্ভর করে ঐ প্রতিষ্ঠানে কতটা কার্যকরি নীতিমালা এবং স্বাতন্ত্র বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান তার উপর।
এসি
আরও পড়ুন