মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২১:৫৭, ১২ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ২২:০০, ১২ মার্চ ২০২২
মুদি দোকানে মূল্য তালিকা না টানানো ও পেঁয়াজের আড়তে ক্রয় রশিদ না থাকায় রাজধানীর শ্যামবাজারে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির দায়ে লালমাটিয়ায় সাবেক কৃষি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারসহ তার বাড়ি থেকে ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি নিত্যপণ্যের বাজার অনেকটা উর্ধ্বমূখী। নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত অভিযানে নামছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কর্মকর্তারা।
ক্রয় রশিদ ছাড়াই পেঁয়াজ কেনা হয়েছে। সেগুলো আবার ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করা হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে।
মুদি দোকানগুলোতেও নেই আপডেট মূল্য তালিকা। জরিমানা গুণতে হয় তাদের বেশ কয়েকজনকে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান বলেন, ‘‘প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় করতে হবে এবং সেটি বিক্রয়ের ক্ষেত্র ক্রয় রশিদ প্রদার করতে হবে পাশাপাশি যিনি ক্রয় করেছেন তাকেও ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেক দোকানি মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন না এবং ক্রয়রশিদ প্রদান করছেন না, সেই কারণে আমরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আরোপ করেছি।’’
সয়াবিন তেলের দাম চড়া, বাজারঘুরে পাওয়াও মুশকিল। এরই মাঝে সাবেক কৃষি কর্মকর্তা লায়েকুজ্জামানের বাড়িতে পাওয়া গেল ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল। সেগুলো জব্দ ও তাকে আটকের পর জানা গেল, আসন্ন রমজানে দাম বাড়তে পারে, এ ধারণায় ভোজ্যতেল মজুদ করেন তিনি।
তার বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘‘ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপক লাভের উদ্দেশ্যে এবং অন্য জনসাধারণ যেন সংকটের মধ্যে পড়ে যায়, সেই কৃত্রিম সংকটের প্রয়াসে তার এই মজুদদারী।
বিপ্লব কুমার আরও জানান, দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে চড়া লাভে এসব সয়াবিন তেল বিক্রির পরিকল্পনা ছিল লায়েকুজ্জামানের, যা ফৌজদারি অপরাধ।
তিনি বলেন, উনি নিজেই স্বীকার করেছেন, যেহেতু বাজারে তেলের দাম বাড়তি, ভবিষ্যতে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে, সামনে রমজান রয়েছে, তাই অতিরিক্ত লাভের আশায় তিনি তোলগুলো মজুদ করে রেখেছেন।
রিমান্ডে নিয়ে এর সাথে আর কারা জড়িত তা বের করার কথাও জানায় পুলিশ।
এমএম/
আরও পড়ুন