ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

মশানাশক ওষুধ ছিটালেও ফলাফল শূন্য (ভিডিও)

মাহমুদ হাসান

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ১৩ মার্চ ২০২২

কিউলিক্স মশার উৎপাতে নাকাল রাজধানীবাসী। মশারি, কয়েল কিংবা স্প্রে ছিটিয়েও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না কামড় থেকে। কিটতত্ত্ববিদরা বলছেন, প্রজননস্থল ধ্বংস করতে পারলে নিয়ন্ত্রণে আসবে মশা। এদিকে মশার প্রজননস্থলের তথ্য চাচ্ছে সিটি করপোরেশন।

রাজধানীবাসীরা জানান, “মশায় বিন বিন করতেই থাকে। দুই মিনিট দাঁড়ালেই পা ফুলিয়ে ফেলে। মশার জন্য দিনের বেলায়ও ঘুমাতে পারছি না, শুইতে গেলেই কানের কাছে ভোঁ শব্দ।”

ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগের কারণ কিউলিক্স মশা। শীত শেষে মার্চ-এপ্রিল মাসে প্রকোপ বাড়ে।

বদ্ধ নোংরা ও পচা পানিতে এই মশার জন্ম। পানিতে ভেসে থাকা কচুরিপানায় পায় প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ।

এলাকাবাসী জানান, “মশার কারণে বাসার জানালায় নেট লাগানো হয়েছে। এর কারণে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়। না হলে বাসায় বসাই যায় না।”

আরেকজন জানান, “সিটি কর্পোরেশনের মশার ওষুধ রাস্তায় দিয়ে চলে যায়। বাসার ভেতরে যে দিবে বা কোন গলিতে দিবে, সেটা হচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা হিসেবে খুব অসহায় বোধ করছি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অনেকটা উদাসীনই বলা যায়।”

মশক নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কাজ করার কথা জানালেন কিটতত্ত্ববিদরা। লার্ভিসাইডিংয়েই কেবল সেটা সম্ভব বলেও মত তাদের।

কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, “প্রতি ৭ দিন অন্তর অন্তর লার্ভিসাইড বা লার্ভা মারার যে কীটনাশটি রয়েছে সেটিকে যদি প্রয়োগ করতে পারি তাহলে প্রজননস্থলে এদেরকে ধ্বংস করা সম্ভব।”

সিটি করপোরেশন প্রতিনিয়ত মশানাশক ছিটালেও ফলাফল শূন্য। তবে নগরবাসী থেকে মশার প্রজননস্থলের তথ্য আশা করছে তারা।

ডিএসসির ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান বলেন, “যখন চতুরদিক ঘিরে একজন ডেভেলপার কাজ করে তখন আমার লোক ঢুকতে পারে না। বাইরে থেকে দিয়ে চলে আসে। তার উচিত ডেকে ভেতরে দেওয়া। এরকম থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিব।” 

মৃত্যুর কারণ না হলেও এই মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে সবার সম্মিলিত চেষ্টার প্রয়োজন বলেও মনে করে করপোরেশন।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি