টাকা-স্বর্ণের লোভেই আফরোজাকে খুন করে গাড়ি চালক
প্রকাশিত : ১৬:০৭, ১৬ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৬:৩৪, ১৬ মার্চ ২০২২
রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় আফরোজা সুলতানা (৩২) হত্যা মামলায় গাড়ি চালক হৃদয় বেপারীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। টাকা ও স্বর্ণের লোভে গলা কেটে আফরোজা সুলতানাকে হত্যার পর পালিয়ে যায় হৃদয়।
বুধবার (১৬ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি জানান, টাকা ও স্বর্ণের লোভে হৃদয় বেপারী গলা কেটে আফরোজা সুলতানাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুড়ি ও চোরাই স্বর্ণলংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
অনলাইনে জুয়ার আসক্ত হয়ে টাকা অভাবে আফরোজাকে হত্যা করেছে বলে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ডিবিপ্রধান হাফিজ আক্তার আরও বলেন, রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের গাড়িচালক আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর সে কিভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত এবং স্বর্ণালংকার চুরি করেছে তা দেখিয়ে দেয়।
তার দেওয়া তথ্য মতে, পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও হৃদয়ের বাসার পাশে বালুর নিচে লুকিয়ে রাখা চুরি করা স্বর্ণালংকারসহ সংশ্লিষ্ট আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন আফরোজা। লিফট দিয়ে উঠে যান দোতলার নিজ ফ্ল্যাটে। কিছুক্ষণ পর গাড়িচালক হৃদয়ও উপরে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাকে নিচে নেমে আসতে দেখা যায়।
এর ১৫-২০ মিনিট পরই বাসায় ফিরে বাথরুমে স্ত্রী আফরোজার গলাকাটা মরদেহ শনাক্ত করেন স্বামী আয়ান।
মাত্র দু’মাস আগে গত জানুয়ারিতে বিয়ে করে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি বাসায় উঠেছিলেন আয়ান-আফরোজা দম্পতি। এমআইএস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন আফরোজা সুলতানা। তার স্বামীও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
এএইচ/
আরও পড়ুন