স্বেচ্ছা রক্তদাতারা আত্মীয়ের চেয়ে বড় আত্মীয়: পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়

বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও একুশে টেলিভিশনের সিইও পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রক্তদান অন্যতম একটি মহৎ কাজ। আর স্বেচ্ছা রক্তদাতারা আত্মীয়ের চেয়েও বড় আত্মীয়। সত্যিকারের মানুষ হতে হলে রক্তদানের মতো এমন সেবাকাজে নিয়মিত অংশ নিতে হবে।’ 

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনের এ অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার, ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন- এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানায় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানটি। এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের হাতে সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড ও সম্মাননা  ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। 

স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের অভিনন্দন জানিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রক্তদানের মতো এমন সেবাকাজকে ব্রত হিসেবে নিতে পারাটাই প্রকৃত মনুষ্য ধর্ম। সেবাদানকারী এই মানুষগুলোই সৃষ্টিকর্তার কাছের মানুষ। 

একইসঙ্গে দেশের রক্তের চাহিদা পূরণে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন সাজিদ রহমান এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী ফাইজা মোস্তফা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। প্রধান অতিথি, নিয়মিত রক্তদাতাসহ উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।

উল্লেখ্য, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় ১৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

এনএস//