ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা (ভিডিও)

মফিউর রহমান

প্রকাশিত : ১২:২১, ১৬ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৬, ১৬ এপ্রিল ২০২২

করেনা মহামারির কারণে গেলো ২ বছর ঈদের কেনাকাটায় ছিলো বিধি নিষেধ। মানুষজনও খুব বেশি যায়নি বিপনি বিতানে। তবে এবার সে চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। ঈদের বেশ আগেই জমে উঠছে রাজধানীর বিপনী বিতানগুলো। বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন ঈদ মাথায় রেখে তারা এবার পোষাকের ডিজাইন করেছেন। 

করেনা মহামারি আর লকডাউনে গেলো ২ বছর বিধি নিষেধের আওতায় ছিলো দেশের বিপনি বিতানগুলো। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। করোনা পুরোপুরি চলে না গেলেও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আর তাইতো খুলে দেয়া হয়েছে সব দোকানপাট।

কোনো বিধি নিষেধ না থাকায় রাজধানীর বিপনি বিতানগুলোতে ক্রেতারা ভীড় করছেন ঈদের কেনাটা করতে। 

দোকানগুলোতে সংগ্রহও বেশ ভালো। শাড়ির মধ্যে রয়েছে সিল্ক, হাফ সিল্ক, সুতি, জর্জেট, কাতান, বেনারসি, মসলিন, তাঁতসহ আরও নানা প্রকার। দামেও রয়েছে বৈচিত্র। ১ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এসব শাড়ি মিলছে রাজধানীর বেইলি রোডের দোকানগুলোতে। 

এছাড়া রয়েছে, মেয়েদের থ্রিপিস, ফতুয়া, প্লাজো, জিন্সপ্যন্টসহ নানা আইটেম। 

ছেলেদের পাঞ্জাবি কালেকশনেও রয়েছে বৈচিত্র। গরমে আরামদায়ক সুতির পাঞ্জাবির পাশাপাশি রয়েছে, সিল্ক, তশর, লীলেন, খাদিসহ নানা কাপড়ের পাঞ্জাবি। 

বিক্রেতারা বলছেন, এবার গরমকে মাথায় রেখে পোশাকের ডিজাইন করিয়েছেন তারা। নজর দেয়া হয়েছে রংয়ের দিকেও।

ব্যবসায়ীরা জানান, “লাইট কালারের উপর ডিজাইনটা বেশি, যেহেতু গরমের সিজন। চলছেও বেশি। 

গেল দু’বছর অনলাইনে কেনাকাটায় ছিল ক্রেতাদের ভরসা। এবার নিজেরা মার্কেটে এসে হাতে ধরে-দেশে পছন্দের পোশাক সংগ্রহ করতে পারছেন।

এক ক্রেতা জানালেন, “দু’বছর তো অনলাইন বেইজ ছিল, মার্কেটে এসে দেখার সুযোগ পাইনি। তো এবার খুবই ভাল লাগছে।”

আরেক ক্রেতা বলেন, “সাধারণ মানুষ সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। ঈদটাকে উদযাপন করতে পারছে, কেনাকাটা করতে পারছে। খুবই ভাল লাগছে।”

করোনার প্রকোপ কমে গেলেও চলাফেরায় এখনও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেও মনে করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি