রাস্তায় বিক্রি খাবার নানা রোগজীবাণুর বাহক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩৯, ২৮ মে ২০২২ | আপডেট: ১২:৪৬, ২৮ মে ২০২২
রাজধানীর রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে নানা লোভনীয় খাবার। কোথাও ফুচকা-চটপটি, কোথাও ঠাণ্ডা শরবত। এগুলো আকর্ষণীয় খাবার হলেও বানানো হয় অস্বাস্থ্যকর উপায়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় অনিরাপদ পানি। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও দূষিত পানিতে তৈরি শরবত স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি, বলছেন চিকিৎসকেরা। এজন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জ্যৈষ্ঠের খরতাপে অতিষ্ট জনজীবন। তবুও জীবিকার তাগিদে ছুটে চলছে রাজধানীবাসী। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসছে লোভনীয় খাবারের পসরা। দেদারসে বিক্রি হচ্ছে কেটে রাখা শসা, তরমুজ, আম, পেয়ারা, আনারস। আছে ফুচকা, চটপটি, ঠাণ্ডা শরবত। যার বেশিরভাগই অনিরাপদ পানি দিয়ে তৈরি। ক্রেতারও অভাব নেই।
ক্রেতারা বলেন, “এ খাবারগুলো অনেকেই খেয়ে থাকে। আসলে এগুলো খেতে ভাললাগে। অনেক সময় বাধ্য হয়ে ক্ষুধার জন্য খেতে হয়।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিমাত্রার বায়ু দূষণের রাজধানীর রাস্তায় বিক্রি হওয়া এসব খোলা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং শরবত নানা রোগজীবাণুর বাহক। এ কারণে ডায়রিয়া, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন রোগ বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, “ধূলাবালি, মাছি পড়ছে- এই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ডায়রিয়া বাড়ছে। শ্বাসযন্ত্রের রোগ বাড়ছে, নিয়মোনিয়া হচ্ছে, ভাইরাল ইনফেকশন বাড়ছে। একে তো বায়ুদূষণ তার মধ্যে গরম- দুটো মিলিয়েই অ্যাজমা-হাঁপানি বাড়ছে, টনিক ব্রঙ্কাইটিস-সিওপিডি বেড়েই যাচ্ছে। প্রচুর রোগী পাচ্ছি ডাইফয়েড, জন্ডিস, বিভিন্ন ধরনের পেটের পীড়া।”
ব্যবসার স্বার্থে খোলা খাবার প্রস্তুত ও বিক্রিতে সতর্কতা এবং প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো কথা বলছেন এই চিকিৎসক।
ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, “যারা বাইরের দোকানে বিক্রি করেন তারা ব্যবসার স্বার্থে এরকম করেন। তাদেরকে একটু সতর্ক হওয়া উচিত, সেই সঙ্গে প্রশাসনের। প্রয়োজনে একটা ভিজিলেন্স টিম করতে পারে। যেখানে যেখানে বিক্রি বেশি সেই অনুযায়ী যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে অনেকটাই বিভিন্ন রোগব্যাধী থেকে দেশকে বাঁচান সম্ভব।”
শুধু বাইরের খাবার নয় সুস্থ থাকতে ঘরে তৈরি খাবার ও পানি পানে সচেতনতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, “প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করবে, জনগণকেও সচেতন থাকবে হবে।”
এএইচ
আরও পড়ুন