মাদকসেবী-ভবঘুরেদের আখড়া রাজধানীর যাত্রী ছাউনি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৪৯, ২৪ জুলাই ২০২২
রাজধানীর যাত্রী ছাউনি থাকলেও নেই কোনো তদারকি। এর কোনো কোনোটি এখন মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের আখড়া। কোনোটা আবার ময়লার ভাগাড়। কোথাও আবার ব্যবহার হচ্ছে গাড়ি পার্কিংয়ে। ফলে বাসগুলো যেখানে সেখানে থেমে যাত্রী তুলছে ও নামাচ্ছে। যাত্রী ছাউনিগুলোর ব্যবহার নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
মৌচাক মোড়, মাত্র ৩০ গজ এগোলেই যাত্রী ছাউনি। বাসগুলো থামবে ছাউনির সামনে, যাত্রী নামবে এবং উঠবে। নিয়ম থাকলেও মানছে না কেউ। তাইতো সড়ক জুড়ে তৈরি হচ্ছে যানজট। সেই সাথে আছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
চালকরা জানান, “কোন যাত্রী ওই খানে নাই, মোড়ে মোড়ে থাকে যাত্রীরা।” যাত্রীরা জানান, “বাস তো যাত্রী ছাউনির সামনে দাঁড়ায় না। কারণ সব বাস মোড়ে থামে।”
এই ছাউনিতে যাত্রীরাইবা দাঁড়াবে কিভাবে? গৃহস্থালি বর্জ্যে এটি এখন রীতিমতো ময়লার ভাগাড়।
যাত্রীরা আরও জানান, “ছাউনিতে ময়লা-আবর্জনা, যাত্রীদের বসার তো অবস্থা আসলে নেই।”
ঢাকার দুই সিটিতে আছে দেড়শ’রও বেশি যাত্রী ছাউনি। কোনো কোনো ছাউনি আবার চলে গেছে অবৈধ দখলে। তদারকি ও সংস্কারের অভাবে যাত্রী ছাউনি থেকেও নেই।
অনেকগুলো যাত্রী ছাউনি আবার মাদকাসক্ত ও ভাসমান মানুষের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে ভাসমান দোকান।
পথচারী ও যাত্রীরা জানান, “যাত্রী ছাউনিতে নেশাখোড় মানুষরা বসে থাকে। সে কারণে আমরা যাত্রীরা বসতে পারি না।”
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সঠিক স্থানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ ও ছাউনিগুলোকে ব্যবহার উপযোগী রাখার তাগিদ গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞদের।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, “সিটি করপোরেশনগুলো যেসব যাত্রী ছাউনি তৈরি করবে তারা যেন এখানে আরও কিছু সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে। হতে পারে সেটা ওয়াইফাই, পানির ব্যবস্থা। পুলিশের দায়িত্ব থাকবে সেখানে বাস থামছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা। মালিকদের উচিত হবে চালকদের মোটিভেট করা, যাতে তারা যাত্রী ছাউনিতে এসে যাত্রী উঠা-নামা করায়।”
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘নির্মল বায়ু টেকসই পরিবেশ’ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হয়েছে ১৯টি যাত্রী ছাউনি। যাত্রী আকৃষ্ট করতে ওয়াইফাই, টি-স্টল, ফোন চার্জের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও সেসবের কিছুই নেই।
এএইচ
আরও পড়ুন