ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নকল চাবি দিয়ে করতেন মোটরসাইকেল চুরি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৬, ১৭ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৬:২৮, ১৭ আগস্ট ২০২২

Ekushey Television Ltd.

নকল চাবি দিয়ে তালা খুলে মটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।  

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিএমপির গেন্ডারিয়া থানার একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় ৫ সদস্যের এই চক্রকে গ্রেফতার করে। তারা অভিনব উপায়ে মোটরসাইকেল চুরি করে কেরানীগঞ্জ, দোহার, মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে অল্প দামে বিক্রি করত বলে জানান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার।

হারুন অর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছে চক্রের দুই সদস্য নূর মোহাম্মদ (২৬) ও রবিন (২৩)। তাদের যাত্রাবাড়ীর শনির আকড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সজল (১৮), মনির (২২) ও আকাশ (২২) নামের তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ১৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।  

তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল একটি চক্র। গত কয়েক বছরে এই চক্রের সদস্যরা অন্তত ৫০০ মোটরসাইকেল চুরি করেছে- এমন অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটিকে ধরতে অভিযান শুরু করে ডিবির ওয়ারি বিভাগ। চক্রটি ছিল খুবই ধূর্ত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চক্রের মূল হোতা নূর মোহাম্মদ ও রবিনকে শনাক্ত করা হয়। পরে রাজধানীর শনির আখড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সজল, মনির ও আকাশকে  যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।’

চক্রের মূল হোতা নূর মোহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে মূলত জুরাইন এলাকা থেকে চুরি শুরু করলেও পরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় চোর চক্র গড়ে তোলে। চক্রের অন্যতম সহযোগী রবিনের মাধ্যমে জিক্সার মোটরসাইকেলের চাবি তৈরি করে সে। চাবি ব্যবহার করে তারা জিক্সার মোটরসাইকেল অনায়াসেই স্টার্ট করতে পারতো। তাদের তথ্যমতে চুরি করা থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত বিভিন্ন সদস্য স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতো। তাদের মধ্যে অন্যতম সজল, মনির ও আকাশ বিশেষভাবে কাস্টমার সংগ্রহ করার দায়িত্ব নিতো এবং তাদের গাড়ি ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করতো।

হারুন অর রশীদ বলেন, এ সংঘবদ্ধ চক্রটি চোরাই মোটরসাইকেলগুলো সাধারণ মানুষের কাছে ইন্ডিয়ান বর্ডার ক্রস গাড়ি বলে বিক্রি করে আসছিল। প্রতিটি চোরাই মোটরসাইকেল তারা ৪০ থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতো। তারা ২০১৫ সাল থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছে এবং এ পর্যন্ত ৫০০টিরও বেশি মোটরসাইকেল চুরি করেছে।

গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এছাড়া সহযোগী রবিনের বিরুদ্ধে তিনটি এবং অন্য তিন জনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি