হাতিরঝিল থানায় আসামির মৃত্যু, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
প্রকাশিত : ২১:৫৯, ২০ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় চুরির মামলায় গ্রেফতার আসামি সুমন শেখের মৃত্যুতে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ আত্মহত্যা বললেও পরিবারের দাবি, নির্যাতনেই মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
রাজধানীর রামপুরায় পিওর-ইট পানির ফিল্টার কোম্পানীতে চাকরি করতেন যুবক সুমন শেখ। ৫৩ লাখ টাকা চুরির অপরাধে গত ১৫ আগস্ট কোম্পানীর অফিস থেকে হাতিরঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে হাজতখানায় রাখা হলে সেই রাতেই আত্মহত্যা করেন সুমন।
তার মৃত্যুর খবরে থানার সামনে ভিড় করেন পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে থানার গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান সুমনের রিকশাচালক বাবা।
এদিকে পুলিশ বলছে, চুরির মামলা দায়ের করা হলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সুমনকে শনাক্তের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
নিহত সুমনের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেই জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।
সেইসঙ্গে এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
সুমন শেখের আত্মহত্যার বর্ণনা দিয়ে ডিসি জানান, অভিযান শেষে আসামিকে রাতে হাতিরঝিল থানায় রাখায়। শনিবার সকালে রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত ৩টা ৩২ মিনিটে সুমন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এই ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।
এদিকে, সুমন শেখের (২৫) মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে হাতিরঝিল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।
সুমন শেখের মৃত্যুর বিষয়ে তার স্বজন মো. সোহেল আহমেদ বলেন, শুক্রবার দুপুরে একটি চুরির মামলায় সুমন শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুমন রামপুরায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। আজ আমরা জানতে পারি সে থানার ভেতরে মারা গেছে।
জানা যায়, সুমন শেখের বাড়ি নবাবগঞ্জ থানার দক্ষিণকান্দি। তিনি ইউনিলিভার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানে মালামাল ডেলিভারির কাজ করতেন। তার একটি ৬ বছরের সন্তান আছে।
এনএস//
আরও পড়ুন