নিজস্ব গাড়ির রাশ টানতে স্কুলবাস চালুর উদ্যোগ উত্তর সিটির (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
যানজটের লাগাম টানার পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ের স্কুল বাস চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এরইমধ্যে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে বাস সার্ভিস নিয়ে আলোচনাও শুরু করেছে তারা। শুরুতে চারটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে এই সেবা চালু করতে চায় সিটি করপোরেশন।
স্কুল শুরুর সময়ে রাজধানীর সড়কগুলো থাকে রিকশা ও প্রাইভেটকারের দখলে। যানজটের ঢেউ আছড়ে পড়ে গোটা নগরে। স্কুলে যাওয়া-আসায় এই দুটি বাহনের ব্যবহারই সবচে বেশি। ফলে স্কুল শুরু ও ছুটির সময় রাজধানীর প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে যানবাহন জট পাকিয়ে থাকে ঘণ্টার পার ঘণ্টা।
স্কুল সময়েই সবচেয়ে বেশি প্রাইভেট কার চলে। আর এটিই যানজনের অন্যতম কারণ। এই পর্যক্ষেণ ট্রাফিক বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের।
যানজট কমানোর ভাবনা থেকেই প্রাথমিকভাবে রাজধানীর চারটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্কুলবাসে আনা-নেয়ার পরিকল্পনা করেছে উত্তর সিটি করপোরেশন।
গুলশান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটরিয়ালের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা জাহানারা বলেন, “এখন যদি বাস হয় তাহলে কর্মজীবী মানুষের অনেক উপকার হবে। আর যারা চাচ্ছে না তারা নিশ্চয়ই সেফটি-সিকিউরিটি সবকিছু দেখে ওনারও এগ্রি করবেন, আমাদের বিশ্বাস।”
সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগে আগ্রহ আছে শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকরা বলছেন, স্কুলবাসে সন্তানকে নিরাপদে পাঠাতে পারলে অবশ্যই ভালো হবে।
অভিভাবকরা বলেন, “এটা তো খুব দরকার। একসঙ্গে যখন ওরা একটা বাসে আসবে ওদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব গড়ে উঠবে। সব বাচ্চারা মনে করবে একই স্কুলে পড়ি, একই বাসে এসেছি। এখানে টাকার ক্ষেত্রেও সাশ্রয় হয়, আসা-যাওয়ায়ও সুবিধা হবে।”
এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথাও মাথায় রাখছে সিটি করপোরেশন। স্কুলবাস চালুর পর শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা ব্যক্তিগত গাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটির মেয়র।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “যখন আপনার বাচ্চা স্কুলবাসে উঠবে তখনই তার স্কুলের প্রেজেন্টস অটোমেটিকভাবে হয়ে যাচ্ছে। ৪ হাজার স্টুডেন্টস ৪ হাজার গাড়ি, ১০ হাজার স্টুডেন্টস ১০ হাজার গাড়ি সেক্ষেত্রে ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি বাস দেই তাহলে একটি বাসে ৫০টি গাড়ি সেফ হয়ে গেল।”
সিটি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ঢাকায় স্কুলবাস চালু হলে যানজট অনেকাংশেই কমবে। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে দরকার অভিভাবকদের সদিচ্ছা।
এএইচ
আরও পড়ুন