সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ওবায়দুল কাদেরের অঙ্গীকার
প্রকাশিত : ১৬:২১, ১৩ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, রিকশা-সিএনজির জট ও বাসের নৈরাজ্য ছাড়াও মূল সড়কে রিকশার কারণে যানজট লেগেই থাকে। তাই নগরবাসীর কথা চিন্তা করে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অঙ্গীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নগর পরিবহনের নতুন দুটি রুটের উদ্বোধন করে নিজের অঙ্গীকারের কথা জানান মন্ত্রী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমি অনেকদিন ফাইট করছি। কোনো কিছুই সুফল দেবে না যদি রাস্তায় বিশৃঙ্খলা থাকে, জনজীবনে শৃঙ্খলা না থাকে। ঢাকা এখনও পৃথিবীর অন্যতম বসবাস অযোগ্য শহর।
এ সময় নগরীর উন্নতি হচ্ছে দাবী করে তিনি বলেন, আগে বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৪০ শহরের মাঝে ১৩৯ তম ছিল ঢাকা। এখন উন্নতি হয়ে ঢাকা ১৩৩ তম অবস্থানে এসেছে। দুই মেয়র যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঢাকা হবে গ্রিন ও ক্লিন সিটি। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন আশা দেখছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির প্রধান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, যে দুটো রুট চালু করছি তার জন্য দুই বছর ধরে কাজ করছি। অনেক প্রতিকূলতা ছিল, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা এ রুট উদ্বোধন করতে পেরেছি।
বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে হলে সুশৃঙ্খল গণ-পরিবহন চালু করতে হবে বলে এ সময় মন্তব্য করেন দক্ষিণের মেয়র।
তিনি আরও বলেন, এবার নতুন ৫০টি বাস রাস্তায় নামছে। এখন থেকে পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। আর কোনো পুরাতন বাস চলবে না। যাত্রী সেবার উৎকর্ষতা বাড়াবে এসব নতুন বাস। মাঝপথে কোনো যাত্রী ওঠানো-নামানো হবে না। এমন আবদার করবেন না। সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হবে।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, যাত্রী ছাউনি সেবা শুধুমাত্র যাত্রীদের জন্যে। কেউ যেন দখল করতে না পারে। রুট পারমিট ও অনুমোদন বিহীন কোনো বাস চলবে না। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তাপস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেয়র তাপস। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভিন।
এমএম/
আরও পড়ুন