ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪২, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর ধলপুর এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় আহত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে ক্লুলেস এই হত্যার কূলকিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ। 

তবে একটি ফোন কলের সূত্র ধরে এই ক্লুলেস হত্যা মামলাটির রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে আলামত। 

রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি জানান, অজ্ঞাত নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে জানা যায় তিনি খলুমিয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপসী এলাকায় গার্মেন্টকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সে যাত্রাবাড়ীতে ভোর রাতে নামার পর সেখানে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। 

ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ক্লুলেস এ ঘটনার তদন্তে নেমে বেশকিছু ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেও কোনো কূলকিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ। ২৬ জানুয়ারি একটি ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকার নিজ বাসা থেকে আরিফকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর আরিফ তার মায়ের সঙ্গে ফোনালাপে জানায়, অন্যকোনো ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, আগের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই বক্তব্যটি সন্দেহজনক হওয়ায় খলু মিয়া হত্যা মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আরিফকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসে খলু মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য। খলু মিয়াকে খুনের দায় স্বীকার করেন আরিফ, পরে তার হেফাজত থেকে খলু মিয়ার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার আরিফ নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, এই ছিনতাকারীরা সাধারণত এমন এলাকায় বেশি সক্রিয় যেখানে সিসি ক্যামেরা নাই। এছাড়াও মধ্যরাতে ঢাকায় অপরাধীরা বেশি সক্রিয়। চুরি ও ছিনতাইকারীরা জামিনে বেরিয়ে আবার একই অপরাধ করে আসছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি