ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ দগ্ধ ১০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২২, ১ মে ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে দগ্ধ হন একই পরিবারের তিনজন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। 

একই পরিবারের দগ্ধরা হলেন, আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মিম আক্তার (২২) ও নাতি আলিফ (২)। এছাড়াও অপর দগ্ধরা হলেন, মো. সোহেল (৪৮), মেহেদী হাসান (২২), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), শাহারা বেগম (৬৫),ও মিজানুর রহমান(৩২) এবং অপর একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

দগ্ধ আব্দুর রহিমের ছেলে আল-আমিন বলেন, তাদের বাসা ও দোকান ধূপখোলা বাজারে। বাসার পাশেই মুদি দোকান। ওই দোকানে তার বাবা আ. রহিম বসে ছিলেন। আর পাশেই ছিলো তার বোন ও বোনের শিশু সন্তান। দোকানের সামনের রাস্তায় তিতাস গ্যাস লাইনের কাজ চলছিল। সকালে হঠাৎ সেখান বিস্ফোরণ হয়। এতে তাদের শরীরে আগুন ধরে যায়। গত কয়েকদিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, ধূপখোলা বাজার থেকে প্রথমে তিনজন দগ্ধ হয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে দু’বছরের এক শিশু রয়েছে। তিনি বলেন, আব্দুর রহিমের শরীরের ৩০ শতাংশ, তার মেয়ে মিমের ২০ শতাংশ ও শিশুটি সামান্য দগ্ধ হন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া বাসস’কে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাস লাইনে কাজ করার সময় লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। 

বাচ্চু মিয়া জানান, গেন্ডারিয়া ঘটনায় দগ্ধ হয়ে প্রথমে তিনজন,পরে আরও পাঁচ জনসহ ৮ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তারা সবাই পুরাতন বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টির সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সূত্র: বাসস

এসবি/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি