পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে রাজউকের নতুন পরিকল্পনা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৫, ১০ জুন ২০২৩
বায়ান্ন বাজার তেপান্ন গলির শহর পুরান ঢাকা। ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করা এই জনপদ এখন বসবাসের প্রায় অযোগ্য। ভূমিকম্প কিংবা আগুনে এখানে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি। অবস্থার পরিবর্তন আনতে পুরান ভূমি মালিকদের সাথে নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাইছে রাজউক।
প্রায় ৪০০ বছর আগে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ঢাকাকে বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন সুবেদার ইসলাম খাঁ চিশতি। কালের পরিক্রমায় ঢাকা শহরের বিস্তৃতি অনেক বড়।
পুরান ঢাকা এখন পরিণত হয়েছে ঘিঞ্জি শহরে। আধাকাঠা, এককাঠা জমির উপর গড়ে উঠেছে ৫-৬ তলা ভবন। সরু রাস্তায় যেন চলাচলের উপায় নেই।
স্থানীয়রা বলছেন, পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই এমনটি হয়েছে। এ অবস্থার অবসানও চান তারা।
স্থানীয়রা জানান, পুরান ঢাকা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। দেখা গেছে, আগে ১০ কাঠা ছিল একটি বড় পরিবারের। সেটা ভাগ হতে হতে ছোট হয়ে আসছে। সরকার যদি একটা ভালো উদ্যোগ নেয়, আমাদের যদি কাউন্সিল করতে পারে আমাদের যদি বুঝাতে পারে তাহলেই ভালো কিছুটা একটা হতে পারে। এগুলো ভেঙ্গে নতুন করে সরকার যে পরিকল্পনা নিচ্ছে অবশ্যই সেটা ভালো। কিন্তু সেটা আদৌ সম্ভব কিনা সেটা দেখার বিষয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরান ঢাকার উন্নয়ন পরিকল্পনায় অবশ্যই স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। নইলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শিল্পী রায় বলেন, “প্ল্যান ওউনারশীপের যে কম্পিলিসিটি সেটা তো অ্যাড্রেস করতেই হবে। এটা অসম্ভব তা বলবো না কিন্তু এই কাজটা কোন ধারা থেকে করা হবে সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রাজউক কাজটা করতে পারবেনা তেমন নয়, কাজটা করার সময় কোন দর্শন প্রতিফলিত করতে চায় রাজউক, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রকল্প অনুযায়ী, ছোট ছোট জমির মালিকদের একত্রিত করে সুউচ্চ ভবন তৈরি করা কথা বলছে রাজউক।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিসুর রহামন বলেন, “পুরান ঢাকায় যখন ৫টা জায়গায় মডেল দেখাব, তখন দেখবে পাশের বাড়ির লোক আগের তুলনায় বেশি পরিমাণ প্লেসসহ নতুন বিল্ডিং পেয়েছে এবং তারা খুব ভালোভাবে বসবাস করছে তখন তারা উপলব্ধি করবে।”
পরিকল্পিত ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনীয় হবে। থাকবে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা।
এএইচ
আরও পড়ুন