ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৬ স্থাপনাকে জরিমানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০১, ১১ জুলাই ২০২৩

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধানমন্ডি এলাকায় আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক এবং ধনিয়া এলাকায় বিশ্বাস বিল্ডার্স নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ১৬টি স্থাপনাকে জরিমানা করা হয়েছে। 

দক্ষিণ সিটির ৯ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এ সময় মোট ১৬টি মামলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।  

আজ কর্পারেশনের আওতাধীন ধানমন্ডি ১৫/এ, দেওয়ানবাগ, মায়াকানন, নবাবগঞ্জ, জিন্দাবাহার প্রথম লেন, বংশাল, অভয় দাস লেন, আর কে মিশন রোড, মান্ডা, উত্তর যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক ধানমন্ডি ১৫/এ এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক কর্তৃক নির্মিত একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ ৫টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান। আদালত এ সময় আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবকে ১টি মামলায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন এবং বাকী ৪ স্থাপনায় ৪ মামলায় আরও ৫২ হাজার টাকা অর্থদন্ড আরোপ ও তা আদায় করেন। সবমিলিয়ে অঞ্চল-১ পরিচালিত আদালত ৫ মামলায় ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  

দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম আর সেলিম শাহনেওয়াজ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় ২৫টি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানবাগ এলাকায় ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি। এছাড়াও ২ নম্বর অঞ্চলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ২৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ১টি স্থাপনায় ওয়াসার মিটারের নিচে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ এলাকায় ১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৯০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। 
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার আদালত বংশালের জিন্দাবাহার ১ম লেনে ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। 

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ অভয়দাস লেন ও আর কে মিশন রোড এলাকায় ২২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 

সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডা এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 

দশ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় বিশ্বাস বিল্ডার্সের নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও আরেকটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। 
আজকের অভিযানে সর্বমোট ২৬৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এদিকে দক্ষিণ সিটির স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ে ৯৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মশক নিধনে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা ও চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হচ্ছে। এরপর সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব অভিযানে কর্পারেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করছেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণসহ নানাবিধ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। 

এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ অঞ্চল-১ এ ১০টি, অঞ্চল-২ এ ১২টি, অঞ্চল-৩ এ ২৮টি, অঞ্চল-৪ এ ১১টি, অঞ্চল-৫ এ ১৫টি, অঞ্চল-৬ এ ৩টি, অঞ্চল-৭ এ ৪টি, অঞ্চল-৮ এ ৫টি, অঞ্চল-৯ এ ৬টি এবং অঞ্চল-১০ এ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। 
সবমিলিয়ে আজ ৯৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। 

কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি