মধ্যরাতেও মিলছে না গ্যাস, বেসামাল নগরবাসী
প্রকাশিত : ১১:২১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১২:০২, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
গ্যাস সঙ্কটে বেসামাল নগরবাসী। না জ্বলছে রান্নার চুলা, না আছে অন্যান্য সুবিধা। প্রতি মাসে শুধু তিতাসের টাকা শোধাচ্ছেন রাজধানীবাসী।
এতোদিন ছিল অল্পস্বল্প। গেল ক’দিন ধরে একেবারেই গ্যাস নেই।
গেল দেড় মাস ধরে শীতের প্রকোপ সহ্য করে গভীর রাতে রান্না করতেন কেউ কেউ। সম্প্রতি মধ্যরাতেও মিলছে না গ্যাস। ঠান্ডায় পানি গরম কিংবা বাচ্চাদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় রান্নাবান্না করতে পারছেন না গৃহিনীরা।
তারা জানান, প্রত্যেক মাসেই বিল দিতে হচ্ছে, কোনো বাকি নাই। তবুও রাতের ১২টা-১টায় গ্যাস আসে তখন আমরা সেই গ্যাস দিয়ে কি করবো। রাতে রান্না করলেও ভোরে তা খাওয়া যায়না, শীতে ঠাণ্ডা হয়ে থাকে।”
রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মিরপুর, উত্তরা, বাড্ডা, হাতিরপুলসহ বেশ কিছু এলাকায় মিলছে না গ্যাস। আগুনের ঝুঁকি থাকলেও বিকল্প উপায়ে চুলা জ্বালাচ্ছেন নগরবাসী। অহেতুক বিলের পাশাপাশি নতুন করে কিনতে হচ্ছে কেরোসিন স্টোভ, মাটির চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার আর ইলেকট্রিক চুলা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এলপি গ্যাসের বিল, বিদ্যুতের চুলার বিল সেই সঙ্গে তিতাস গ্যাসের বিলও দিতে হচ্ছে। তিনটা তো দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
এক গৃহিনী জানান, বাচ্চাদের খাবার দিতে পারছিনা। সকাল হবার আগেই গ্যাস চলে যায়।
তিতাস বলছে, শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে গ্যাস সরবরাহ।
তিতাস গ্যাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, কিছু কিছু এলাকায় নেটওয়ার্কের সমস্যা আছে। আপনি যতো দূরে থাকেন সেক্ষেত্রে যদি গ্যাসের চাপ কম থাকে তাহলে আপনি গ্যাস পাবেননা। কাছাকাছি যারা আছেন তারা অনেকে গ্যাস পাচ্ছেন।”
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, সিলিন্ডার সরবরাহকারীদের ব্যবসা দিতেই তিতাস গ্যাসের এমন কারসাজি।
তারা জানান, মনে হচ্ছে সিলিন্ডার কোম্পানিগুলো গ্যাস কোম্পানিকে ঘুষ দেয়। এটা শীতের সমস্যা মনে হচ্ছেনা। এটা বড় ধরনের কোনো সমস্যা।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী রাজধানীবাসী।
বাসাবাসীতে তিতাসের যে গ্যাসের চুলা রয়েছে তা নিতান্তই শো-পিচের মতো। কারণ মাসের পর মাস তা একেবারেই জ্বলেনা। রাজধানীবাসীকে উপরন্তু ব্যবহার করতে হচ্ছে চড়া মূল্যের সিলিন্ডার গ্যাস।
এএইচ
আরও পড়ুন