ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

দক্ষিনখানে পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামী মাহিন আটক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪

রাজধানীর দক্ষিণখানের  বটতলা এলাকায়  একটি পোশাক তৈরি কারখানায়  ঘুসিতে এক  শ্রমিক নিহতের ঘটনায়  অভিযুক্ত প্রধান আসামী মাহিনকে আটক করেছে দক্ষিনখান থানা পুলিশ। 

আজ সন্ধ্যায় ডিএমপি দক্ষিনখান থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) মো: সিদ্দিকুর রহমান  জানান,  শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দক্ষিণখানের বটতলা এস, এ ফ্যাশন ডিজাইন নামক একটি রপ্তানি মূখি  প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় দক্ষিনখান থানা পুলিশ গোপনে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে পোশাককর্মী মাহিনকে আটক করা হয়। আগামীকাল রোববার আসামী মাহিনকে  জিঞ্জাসাবাদ করে আদালতে পাঠানো হবে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানান ওসি। 

পুলিশ জানান, নিহত তরুণের নাম মো. সজিব (১৭)। সে দক্ষিণখানের বটতলা এলাকায় এস,এ  ফ্যাশন ডিজাইন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে হেলপার হিসেবে কাজ করতো। সজিবের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানার ডাঙ্গেরগাও ওরফে তরগাঁও গ্রামের  শাহেদ আলীর পুত্র। সে পরিবার নিয়ে দক্ষিণখানের মুন্সি মার্কেট এলাকায় ভাড়ায় থাকতো।  

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের লোকজন জানায়, শনিবার সকালে সহকর্মী মাহিনের সঙ্গে মো. সজিবের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে মাহিনের কিল-ঘুষিতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে অন্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়েত মৈত্র হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠালে  বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে  মারা যায়।

নিহতের ভাই মো. ছোলেমান জানান, আমার ভাই সজীব এস এ ফ্যাশন গার্মেন্টে কাজ করতো। তার সহকর্মী মাহিনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে কিল-ঘুসি লাথি মারলে গুরুতর অসুস্থ হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবা রিকশাচালক এবং মা অন্যের বাসায় কাজ করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি)  মো: বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।  এবিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি