‘যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ভবনটি’
প্রকাশিত : ০৯:৫৮, ২২ মার্চ ২০২৪
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেছেন, কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় আগুন লাগা ভবনটি। ভবনটিতে নেই ফায়ার এক্সিট, সংকীর্ণ সিঁড়ি। ভবনটির নিচে নেই নিজস্ব কোনো ওয়াটার রিজার্ভ।
রাজধানীর ডেমরাতে একটি কাপড়ের গোডাউনের লাগা আগুনের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মো. রেজাউল করিম বলেন, এখানকার ভবনগুলো একটার সঙ্গে একটা লাগোয়া। পূর্ব পাশের ভবনটির সঙ্গে এক ইঞ্চিও ফাঁকা নাই। যে কারণে আমরা ভবনটির পূর্ব পাশ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি দেওয়াসহ কোনো কাজই করতে পারিনি। তার ওপর ভবনটির সিঁড়ি খুবই সংকীর্ণ। সেই সিঁড়িতেও মালামাল স্তূপ করে রাখা। ভবনের পর্যাপ্ত এক্সিট রুট নাই, বিকল্প কোনো সিঁড়ি নেই, বিকল্প এক্সিট রুটও রাখা হয়নি।
ভবনটির নিচে ওয়াটার রিজার্ভার তো নাই, আশপাশে ভবনগুলোতেও নাই পানির রিজার্ভার। এইসব কারণে আমাদের আগুন নেভাতে অনেক সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, গোডাউন তৈরির কোনো নীতিমালা মানা হয়নি। ফায়ার ফাইটারদেরকে একটা একটা করে জিনিস সরিয়ে ভেতরে ঢুকে কাজ করতে হচ্ছে।
দীর্ঘক্ষণ আগুন জ্বলায় ভবনটির অবস্থা নাজুক হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ভবনটি। একটি ছাদ ফেটে গেছে। যে কারণে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভবনটি কাঠামোগত শক্তি একেবারেই হারিয়েছে বলে দাবি করেন এ ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার।
এদিকে, প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ চলছে এখনও।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় ডেমরার প্রেস এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার গোডাউনটিতে খেলাধুলার পোশাকসামগ্রী রাখা ছিল বলে জানা গেছে।
আগুনের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট। কিন্তু তাদের ৫ ঘণ্টার চেষ্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে যোগ দেয় নৌবাহিনীও।
এমএম//
আরও পড়ুন